খুলনার বটিয়াঘাটার কৃষকদের নতুন ধানজাত উদ্ভাবনের বর্তমান বর্তমান অবস্থা এবং নির্মাতা মিহিরি কুমার ম-লের কৃষিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও পেস্টিসাইড বা বিষ ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক তথ্যচিত্র ‘বাণিজ্যের গ্রাসে কৃষি’ উপস্থাপন করা হয়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজ ও নিরাপদ কৃষি আন্দোলন মঞ্চের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) খুলনা সমাজসেবা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও ডকুমেন্টারি উন্মুক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মরিরুল ইসলাম রিপন, কৃষিবিদ ড. এসএম ফেরদৌস, সাংবাদিক গবেষক গৌরাঙ্গ নন্দী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার সহকারি উপপরিচালক মিজান মাহমুদ, এডিডি (ক্রপ) রবিউল ইসলাম, নারী নেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ, পুর্নেন্দু দে বুবাই, নিরাপদ কৃষি আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি এসকেএমডি বাহলুল আলম, কারিতাসের ড. সুমন কুমার মালাকার, নির্মাতা মিহির কুমার মন্ডল প্রমুখ:।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস কৃষকদের নতুন ধানজাত উদ্ভাবনের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, এলাকা উপযোগী নতুন নতুন উন্নত ধানের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে বেশি ফলন ফলানো এবং কৃষকের পছন্দ বা পরিকল্পনা মাফিক জাত উদ্ভাবনের মধ্যদিয়ে বাজার বা কোম্পানীর নির্ভরতা কমানোর জন্যই মূলত কৃষক ধানের ক্রস ব্রীডিং করেন। ধানের ব্রীডিং বা প্রজনন হল ধানের ফলন, জলবায়ু প্রতিরোধ ক্ষমতা, কীটপতঙ্গ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য উন্নয়নের জন্য ধানের জেনেটিক প্যাটার্ন পরিবর্তন করার একটি পদ্ধতি। যেখানে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ঠ্যসম্পন্ন দুটি ধানজাতের একটিকে মাদার এবং একটিকে ফাদার করে ইমাসকুলেশন ও পলিনেশন প্রক্রিয়ায় নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়। এরপর দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ মৌসুমে লাইন সিলেকশানের মাধ্যমে নতুন ধান জাতের উদ্ভব ঘটে। লোকজ-এর সহযোগিতা নিয়ে বটিয়াঘাটার বর্তমানে ৩ জন কৃষক বোরো নতুন ধান জাতের এফ-০৩ পর্যায়ে এবং ০১ জন কৃষক আমন নতুন ধান জাতের এফ-০২ পর্যায়ে রয়েছেন।
আলোচনা সভা শেষে; কৃষিতে বহুজাতিক কোম্পানীর আগ্রাসন, কৃষকের চাষাবাদের স্বাধীনতা, নিরাপদ কৃষির গুরুত্ব হাইব্রিড বীজ, বীজ সংরক্ষণের মাধ্যমে কৃষকের বীজের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং কৃষিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও পেস্টিসাইড বা বিষ ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে লোকজ-এর সহযোগিতায় নির্মাতা মিহির কুমার ম-ল-এর তথ্যচিত্র বাণিজ্যের গ্রাসে কৃষি উপস্থাপন ও উন্মুক্ত করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি