যশােরের চৌগাছার উত্তম জুয়েলার্সে চুরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চারচক্র দােকানের পিছনের দেয়াল কেটে দােকান ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার নগদ টাকাসহ প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। শুক্রবার সকালে তিনি দােকান খুলে চুরির ঘটনাটি দেখতে পান। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। একের পর এক চুরির ঘটনায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে ব্যবসায়ী মহলসহ সব শ্রেনী পেশার মানুষপর মাঝে।
থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছা বাজার জুয়েলারী ব্যবসায়ীদের অন্যতম ব্যবসায়ী হচ্ছেন উত্তম জুয়েলার্স, যার মালিক ধীরেদ্র নাথ দে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই দােকানের পিছনের ১০ ইঞ্চি ইটের দেয়াল যার মাঝখানে লােহার রড দিয়ে সেটি কেটে চােরেরা দােকানে প্রবেশ করে। এরপর দােকানের ভিতরে লাগানাে সিসি ক্যামরার তার কাটার পাশাপাশি দােকানে বিদ্যুত বিছিন্ন করে। এরপর চােরেরা দােকানের শােকেজের কাঁচ ভেঙ্গে ৫ ভরি স্বর্ণালংকর ক্যাশে থাকা কিছু নগদ টাকা নিয়ে যায়। চুরি হওয়া স্বর্ণের বাজারদর প্রায় ছয় লাখ টাকা। চােরেরা দােকানে রাখা সিদুক (আলমারি) ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। শুক্রবার দােকান মালিক ধীরেদ্র নাথ দে দােকান খুলে চুরির বিষয়টি দেখতে পাই। মুহুর্তে খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ী ও উৎসুক জনতা সেখান ভিড় করেন। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান।
ব্যবসায়ী ধীরেদ্র নাথ দের বড় ছেলে উত্তম কুমার দে বলেন, চােরেরা যে ভাবে চুরি সংঘঠিত করেছে তাতে মনে হচ্ছে এটি পূর্ব পরিকল্পিত। ধারনা করা হচ্ছে বুধবার তারা দােকানের পিছনের দেয়াল কাটার কাজ করেছে। দেয়ালের রড থাকায় হয়তো কাজ বন্ধ করে। সুচতুর চােরচক্র দেয়াল কাটা স্থানে প্লাষ্টিকের বস্তা কেটে তাত মাটির প্রালেপ দিয়ে দেয়ালের সাথে লাগিয়ে রেখেছে যাতে কেউ বুঝতে না পারে। এমনি পছনে বন জঙ্গল থাকায় সে দিকে সকলের নজর খুবই কমে যায়। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন থাকায় তারা সন্ধ্যার সাথে সাথে কাজ শুরু করেছে এবং সফল হয়েছে। সিদুকের তালা ভাঙ্গার জাের চেষ্টা চালিয়েছে এবং ৩/৪ টি ভাঙতেও সক্ষম হয়েছে। চােরেরা দােকানে ঢুকে প্রথমে সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে। তার আগে পর্যন্ত যতটুকু ভিডিও হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ৪০/৪৫ বছরের একজন মুখে মুখােশ পরে দােকানে ঢুকছে।
জুয়েলারী ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি অনন্ত সরকার বলেন, চুরির বিষয় আমরা শংকিত যে জায়গা দিয়ে চাের ঢুকছে সেটি ছিল লােকচক্ষুর আড়ালে, যার কারনে চােরেরা বেশ নিরাপদে দােকানে ঢুকতে পরেছে। আমরা ব্যবসায়ীরা দ্রুত থানায় যাবো এবং এ বিষয় করনীয় নিয়ে পুলিশের সাথে কথা বলবো।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি চুরির আলামত জব্দ করেছেন। সিসি ক্যামরার ফুটেজ সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি অপরাধীরা দ্রুতই সনাক্ত হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে