খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  এই ইসির অধীনে নির্বাচন করবে না এনসিপি : নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী
  নিরপেক্ষতায় উদ্বেগ এনসিপির : মন্তব্যে নারাজ ইসি
  করিডোর নিয়ে কারো সাথে কোনো আলোচনা হয়নি: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
সন্তান নিয়ে বিপাকে স্ত্রী মরিয়ম বিবি

দুই সন্তানের জনকের সাথে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও

কেশবপুর প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে দুই সন্তানের জনক হাফিজুরের সাথে পালিয়েছে প্রবাসীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম। সংসার ও দুই সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছে হাফিজুর রহমানের স্ত্রী মরিয়ম বিবি।

কেশবপুর থানায় অভিযোগ সুত্রে ও সরেজমিন পরিদর্শনকালে জানা গেছে, উপজেলার কাস্তা গ্রামের মৃত আজিজ মোড়লের পুত্র হাফিজুর রহমান (৩৬) ১৫ বছর পূর্বে গোপসেনা গ্রামের মেয়ে মরিয়ম বিবি (৩০) কে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করে। হাফিজুর কাঁস্তা নতুন বাজার দর্জির ব্যবসা করতো। দীর্ঘ সংসার জীবনে হাফিজুরের পরিবারে আসে বাপ্পি (১৪) ও মাহমুদ (৬) নামের দুইটি পুত্র সন্তান। তাদের নিয়ে চলছিল সুখের সংসার।

কেশবপুর উপজেলার মেহেরপুর গ্রামের জিন্নাত আলী মোড়ল কাঁস্তা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সরদারের কন্যা রোকেয়া খাতুন (৩১) কে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামায় থাকতো। রোকেয়ার সংসারের স্বচ্ছলতার কথা চিন্তা করে পিতার জমি বিক্রি করে স্বামী জিন্নাহকে বিদেশে পাঠায়। স্বামী জিন্নাত প্রথম প্রথম কিছু টাকা পয়সা পাঠালেও স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অভিযোগ জানতে পেরে পরে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয়।

এর পারে কাঁস্তা গ্রামের বাজারে হাফিজুরের দর্জির দোকানে জামা কাপড় তৈরি করতে যেয়ে রোকেয়া খাতুনের সাথে হাফিজুরের সম্পর্কের সৃষ্টি হয়ে যায়। এক পর্যায় প্রেমের সম্পর্ক থেকে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

হাফিজুরের স্ত্রী মরিয়ম বিবি বলেন, তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে রোকেয়া খাতুনের বাড়িতে যেয়ে তার দুই সন্তানের পিতা হাফিজুরের জীবন থেকে তাকে সরে যেতে তার নিকট স্বামীকে ভিক্ষা চায়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। প্রেম, জীবন ও যৌবনের তাগিদে রোকেয়া খাতুন গত ৩০ মার্চ স্বামীর দেওয়া ৩ ভরী স্বার্ণালংকার ও নগদ ৪ লাখ টাকা নিয়ে হাফিজুর রহমানের সাথে নিয়ে পালিয়ে যায়। যার কারণে প্রবাসী জিন্নাত আলীর মামা মেহেরপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী মোড়লের পুত্র আনিসুর রহমান (৫০) রোকেয়া খাতুন ও হাফিজুর রহমান, রোকেয়া খাতুনের ভগ্নীপতি সাগরদাঁড়ি চাপাতলা নূর আলী সরদার, হাফিজুরের ভাই আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেছে।

কেশবপুর থানার এ এস আই মনির হোসেন সাংবাদিককে জানান, রোকেয়া খাতুনকে ও তার মামা শ্বশুর আনিসুর রহমানসহ অভিযুক্তদেরকে থানায় হাজির করা হয়েছিল। রোকেয়া খাতুন তার স্বামীর সংসার আর করবে না। সে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চায়। তাদের ৯ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ৩ মাস পরে স্বামী জিন্নাত আলী দেশে আসার পর বিষয়টি সমাধান করা হবে বলে তিনি জানান। তবে তিনি কেশবপুরের বাইরে যেতে পারবেন না বলে জানান।

রোকেয়া খাতুনের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, গত দেড় বছর পূর্বে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে এবং হাফিজরকে সে জোর করে বিয়ে করেছে। তারা এখন গোপনে সংসার করছে এবং তারা বর্তমানে কুষ্টিয়ার মেহেরপুরে আছে।

এব্যাপারে রোকেয়া খাতুনের মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি এব্যাপারে কোনো কিছু বলতে চায় না এবং কোথায় আছে জানাতে অস্বীকার করেন।

এদিকে দুই সন্তান নিয়ে মরিয়ম বিবি পড়েছে মহাবিপাকে। সন্তানেরা তাদের পিতার জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে। তারা তাদের পিতাকে ফিরে পেতে চাই।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!