ইউপি নির্বাচনে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ৫ টিতে আঃলীগ মনোনীত প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। একমাত্র বারাকপুর ইউনিয়নে শক্ত কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকার কারণে আঃলীগ মনোনীত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নঃ এ ইউনিয়নে মটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আঃলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা আঃলীগের কার্যকরী কমিটি থেকে বহিষ্কৃত প্রাক্তন তিন বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়ল। এ ইউনিয়নে আঃলীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আঃলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মোল্যা ফিরোজ হোসেন।
সেনহাটী ইউনিয়নঃ এ ইউনিয়ন থেকে আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আঃলীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজী জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া গাজী। এ ইউনিয়নে আঃলীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন প্রয়াত আঃলীগনেতা ও সেনহাটী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আঃ হালিমের সহধর্মিণী, জেলা আঃলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান ফারহনা হালিম।
গাজীরহাট ইউনিয়নঃ এ ইউনিয়নে মটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আঃলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আঃলীগ থেকে বহিষ্কৃত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোল্যা মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু। এ ইউনিয়নে আঃলীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন উপজেলা আঃলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ বর্তমান চেয়ারম্যান কামালউদ্দিন সিদ্দিকী হেলাল।
বারাকপুর ইউনিয়নঃ এ ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আঃলীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আঃলীগের সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়াম্যান গাজী জাকির হোসেন। এ ইউনিয়নে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন বারাকপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ আনছার আলী।
যোগীপোল ইউনিয়নঃ এ ইউনিয়ন থেকে মটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আঃলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও খানজাহানআলী থানা থেকে বহিষ্কৃত যুবলীগের আহবায়ক ও কেসিসি’র প্রাক্তন প্যানেল মেয়র মোঃ সাজ্জাদুর রহমান লিংকন। এ ইউনিয়নে আঃলীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন খানজাহানআলী থাকা আঃলীগের সাধারণ সমপাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমান।
আড়ংঘাটা ইউনিয়নঃ এ ইউনিয়ন থেকে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে বিজয়ী হয়েছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান এস এম ফরিদ আক্তার। এ ইউনিয়নে আঃলীগের প্রার্থী ছিলেন আড়ংঘাটা ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল ইসলাম জিবলু।
বারাকপুর ইউনিয়নঃ এ দিকে বারাকপুর ইউনিয়নের ১ টি কেন্দ্রে দু’ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া এ উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে সুষ্ঠ, সুন্দর, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সারাদিন মেঘলা আকাশ এবং সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণের নির্ধারিত সময়ের আগেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি ছিলো বেশি।
খুলনা গেজেট/ এস আই