খুলনা, বাংলাদেশ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  নতুন সংবিধান প্রণয়ন হওয়া পর‌্যন্ত ৭২’র সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা যেতে পারে, ছোট আইন করেও বড় পরিবর্তন সম্ভব : আসিফ নজরুল
  রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ
  এ মাসের শেষে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে : আবহাওয়া অফিস

তেরখাদায় জমজ শিশু হত্যায় মায়ের স্বীকারোক্তি (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক

জমজ শিশু হত‌্যার দায় স্বীকার করেছে মা কনিজ ফাতেমা কনা। শনিবার আদালতে হত‌্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম‌্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪ এর বিচারক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে তাকে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিচারকের খাস কামরায় নেওয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তেরখাদা থানার এসআই এনামুল হক।

তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো: মাসুম কাজী সাংবাদিকদের বলেন, কানিজ ফাতেমা কনা দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। হত্যাকান্ডের কয়েকদিন আগে স্বামী মাসুম বিল্লাহকে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় কনা। শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য স্বামীকে বলেন। মাসুমের মা অসুস্থ থাকায় বাড়িতে নিতে পারেনি কনাকে। পরে তাকে নেওয়ার কথা বলেছিল সে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। তাছাড়া জমজ শিশুর কান্নাকাটিতে সে বিরক্ত হতো। ওই দিন রাতে মেয়েদের দুধ খাওয়ানোর পর কান্না থামছিল না। অনেক কষ্ট করে তাদের ঘুম পাড়ানো হয়। রাত আড়াইটার পর ঘুম থেকে জেগে আবারও কান্না শুরু করলে তাদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। হত্যার পর কিছুক্ষণ শিশুদের কাছে অবস্থান করে সে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার সব পরিকল্পনা সে করেছিল। পরে পুকুরে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ।

এরপর দু’ঘন্টা পর বাচ্চা নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে চিৎকার করে। পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়। পরে ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে পুকুরে বাচ্চা দু’টির লাশ ভেসে থাকতে দেখা যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: এনামুল হক জানান, শুক্রবার বিকেলে কনাসহ বাবা ও মাকে থানায় ডেকে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিশু দু’টির মা অসংলগ্ন কথা বলতে থাকলে তাদের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। একপর্যায়ে শিশু হত্যার কথাও স্বীকার করে সে। তার সাথে আর কেউ জড়িত না বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।

এর আগে বিকেলে তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ৩ নং ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য উজ্জল শেখ বলেন, কনা আমার প্রতিবেশী। শুক্রবার ফজরের আযানের সময় হঠাৎ বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে বাইরে আসেন। এসে ঘটনাটি শুনে থানায় খবর দেন। পুলিশের সাথে শিশু দু’টির খোঁজে তিনিও অংশ নেন। পরে সকালে পুকুরে লাশ পাওয়া যায়। কনা যে নিজের শিশুকে হত্যা করবে তা তিনি বিশ্বাস করতে পারেনি। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন।

শনিবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে তেরখাদা থানা থেকে ইজিবাইকযোগে কানিজ ফাতেমাকে আদালতে আনা হয়। বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিচারকের খাস কামরায় নেওয়া হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে আদালত থেকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!