খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ পৌষ, ১৪৩১ | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে এক জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৪
  বগুড়ায় ট্রাকচাপায় বাবা-মেয়েসহ নিহত ৩
  আগামী বিজয় দিবসের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে : আসিফ নজরুল

তেরখাদা চালের দাম বাড়ায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

তেরখাদা প্রতিনিধি

তেরখাদা উপজেলার হাট-বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। আর ভোক্তারা পড়েছেন বিপাকে। চাল আনতে পান্তা ফুরায় এমন নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষরা বেশি দামে চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রকারভেদে খুচরা বাজারে সব জাতের চালের দাম কেজি প্রতি ৫-৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা ৫০ টাকা, মোটা চাউল ৫০ টাকা, আঠাশ ৬৫ টাকা, গোপাল মিনিকেট ৬৮ টাকা, দেশ মিনিকেট ৭৭ টাকা ও বাসমতি ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাটেংগা বাজারের চাল ব্যবসায়ী কামরুল শেখ, জয়সেনা বাজারের বিপুল সাহাসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পাইকারি বাজারে তাদের কাছে থেকে বস্তা প্রতি বেশি দাম রাখায় খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে। ফলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়াও প্রকারভেদে সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ৫-৬ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ।

কাটেংগা বাজারে চাল কিনতে আসা মাসুদ শেখ জানান, সপ্তাহে নানান অজুহাতে চালের দাম বেড়েই চলেছে। শুধু চাল নয় নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বাজারে। মোটা জাতের চালের দাম বেশি। চিকন জাতের চালের দাম আরও বেড়েছে। ফলে তাদের দিনযাপনে নানান সমস্যা সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছেন। সরকারি মনিটরিং জোরদার এবং ন্যায্যমূল্যে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবি জানান ক্রেতারা।

রাকিবুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, সপ্তাহে বাজারে গেলেই শুনতে হচ্ছে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জানি না কতো দাম বাড়লে খুশি হবে ব্যবসায়ীরা।

আরেক ক্রেতা শাহিন মোল্যা জানান, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। দিন দিন চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। বাজারে অন্যান্য জিনিসের যে দাম তাতে এখন মোটা চাল কিনে খাওয়াই কঠিন হয়ে গেছে। পাইকারী ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের অজুহাত আমন ধানের উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে বেড়েছে ধানের দাম। এর প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। তবে বাজার মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

এদিকে চালের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে আছেন নিম্ন এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষেরা। তাদের দৈনিক চাল কিনে খেতে হয়। দামের সঙ্গে মিল না থাকায় এক পণ্য নিতে অন্য পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পূরবী রানী বালা বলেন, চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দ্রুত বাজার মনিটরিং করা হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!