যশোরের অভয়নগর উপজেলা সহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি এলে দেখা দিয়েছে বৈশাখের খরতাপে হাঁসফাঁস অবস্থা। প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখি হচ্ছে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিস সূএ বলছে, এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে এখন বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২’ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.২° ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৪০° ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে পানি সংকটে পড়েছে বিভিন্ন গ্রাম বিশেষ করে শহরের বাসিন্দারা। তারা বলছেন, যে টিউবওয়েলে সহসা পানি আসত, সেই টিউবওয়েল এখন অকেজো হয়ে পড়ে আছে চাপলেও উঠছে না পানি।
অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, যশোরের আট উপজেলায় নামছে ভূগর্ভস্থ পানি। এখন পর্যন্ত ৩২ থেকে ৩৬ ফুট নেমেছে পানি। এতে পানি উঠা বন্ধ হয়ে গেছে টিউবওয়েলে। খাবার পানিসহ প্রয়োজনীয় কাজে চাহিদামতো পানি পাচ্ছে না মানুষ।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাযায়,অভয়নগরে প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। বৈরি হয়ে উঠছে প্রকৃতি,হাঁসফাঁস করছে জনজীবন-প্রাণীকুল। খরতাপে সারাদিনই অস্বস্তিকর সময় পার করছেন সাধারণ মানুষ। গরমের তীব্রতায় জীবনযাত্রা থমকে যাবার উপক্রম হয়েছে। তীব্র গরমে ঘরের বাইরে আসা সাধারণ মানুষ পড়ছেন বিপাকে। বেশি বিপাকে পড়েছেন রিক্সা চালক, কৃষক সহ খেটে খাওয়া দিন মজুর। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাইরে বের হতেই হচ্ছে তাদের তীব্র গরমের কারণে ঠিকমত কাজ করতে পারছে না বলে দাবি বেশ কয়েকজন দিনমজুর মানুষের কিন্তুু কাজ না করলে তো সংসার চলবে না এমনটাই বলেছে তারা।
এক রিকশাচালক রহমান খান বলেন, মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে। যারা বাইরে আসছে গরমের সঙ্গে তাদেরও মেজাজ গরম থাকছে। মানুষের সঙ্গে ভালো করে কথা বলা যাচ্ছে না। এদিকে, গরমে পরিবহনে চলাচল করা যাত্রীরাও অনেক কষ্টে যাতায়াত করছেন।
অভয়নগর উপজেলার এক কৃষক লিয়াকত আলী বলেন, ধান ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য মটর চালালে উঠছে না পানি মাঝে মাঝে উঠলেও পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছি না।
সচেতন মহল বলছে, ভুগর্ভস্থে পানির ব্যবহার এত বেড়েছে যে পুকুর জলাশয় ভরাট অপরিকল্পিতভাবে গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপনের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। তাই দ্রুত জলাধর সংরক্ষণ বাস্তবায়ন আইন পাস না করলে ভবিষ্যতে পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
যশোর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশল জাহিদ পারভেজ বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ওয়াটার টেবিলের লেয়ার নিম্নমুখী। ওয়াটার লেভেল নেমে যাওয়ার কারণে সুপেয় পানির যাতে সংকট না হয় সে জন্য উপজেলা পর্যায়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সাবমার্সেবলের পানি সরবরাহ নিশ্চিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিছু দিনের ভেতরেই নিদর্শনা অনুযায়ী কাজ শুরু হবে।
খুলনা গেজেট/এমএম