খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড
  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

তালায় পূর্ব বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক,সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তিকে এলোপতিাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। রোববার (৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুলপোতা গ্রামের তারক চন্দ্র রায়ের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতের নাম রাখাল মন্ডল (৩৫)। সে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুলপোতা গ্রামের কণেক চন্দ্র মন্ডলের ছেলে।

কুলপোতা গ্রামের মিলন মন্ডল জানান, একই গ্রামের তারক চন্দ্র রায় এর ছেলে তুষার রায় ও অমিত রায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এতে এলাকার যুবসমাজ বিপদের দিকে চলে যাচ্ছে। তুষার বর্তমানে পড়াশুনা না করলেও চট্টগ্রামের একটি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে প্রভার খাটিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের নিপীড়ন ও নির্যাতন করে আসছে। দু’বছর আগে তার চাচাত ভাই হরিচাঁদ মন্ডল মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় তাকে মারতে উদ্যত হলে তারক রায় এর কাছ থেকে অপর চাচাতো ভাই রাখাল মন্ডল ওই লাঠি কেড়ে নেয়। এ সময় ওই লাঠির মাথা লেগে তারক রায় এর একটি চোখের নীচে লেগে সামান্য জখম হয়। এ ঘটনায় তারক রায় বাদী হয়ে রাখালসহ ছয়জনের নাম উলে¬খ করে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি সম্প্রতি খারিজ হয়ে যায়।

এরপর থেকে তারক রায় ও তার পরিবারের সদস্যরা রাখালের উপর হামলার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে আশাশুনির মহিষাঙাঙা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় তারক রায় এর বাড়ির সামনে পৌঁছালে রাখাল মন্ডলকে একা পেয়ে তারক রায়, তার স্ত্রী আরতি রায়, তুষার রায়, আমিতাভ রায় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাদেরকে খবর দিলে রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাখাল মন্ডলকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সুজিত রায় বলেন, রাখাল মন্ডলের শরীরের পিঠির ডান পাশে, ডান উরুতে, বুকের ডান পাজরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তজমা কালো চিহ্ন রয়েছে। দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা না গেলে তার অবস্থা সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য তারক রায় এর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।

তালা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কর্মকর্তা চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনায় সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোন কেউ কোন অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!