তাইজুলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিন ১৭৮ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৭৮/৯ (৪৮.৪ ওভার)
তামিমের ক্যাচ মিসে উইন্ডিজের অলআউটে বিলম্ব
মোস্তাফিজের আউটসাইড অফের বল সজোরে হাঁকিয়েছিলেন শেইফার্ড। বল উঠে যায় আকাশে। কাভার অঞ্চলে থাকা তামিম তালুবন্দি করতে পারেননি। ১২ রানে জীবন পান শেইফার্ড। উইন্ডিজের অলআউটেও আরও বিলম্ব হচ্ছে। লেজের এই দুই ব্যাটসম্যান ইতিমধ্যে ২৭ বলে ১৯ রান যোগ করেন।
মোতিকে ফেরালেন মোস্তাফিজ, অলআউটের পথে উইন্ডিজ
মোস্তাফিজের স্লোয়ার অফ সাইডে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন গুদাকেশ মোতি। ৬ বলে ২ রান করেন মোতি। এটি উইন্ডিজের নবম উইকেট। আর মাত্র ১টি উইকেট বাকি। ক্রিজে আছেন আলঝারি জোসেফ ও রোমারিও শেইফার্ড। এটি মোস্তাফিজের দ্বিতীয় উইকেট।
পুরানকে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে তাইজুলের প্রথম ফাইফার
নিকোলাস পুরানকে বোল্ড করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পেলেন তাইজুল ইসলাম। এর আগে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ছিল ১১ রানে ৪ উইকেট। ২৭ মাস পর দলে ফিরে ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকে। ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। এটি তার দশম ওয়ানডে। মোট উইকেট ১৭টি। সাদা পোশাকে নিয়মিত মুখ হলেও রঙিন পোশাকে তিনি অনিয়মিত। মূলত দলের দরকার হলে তাকে রাখা হয়।
ফিফটির পর বিস্ফোরক পুরান, মোসাদ্দেকের শিকার আকিল
৯৩ বলে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি করেছিলেন নিকোলাস পুরান। এরপরই যেন খোলস ছেড়ে বের হন। দুই ছক্কায় ফিফটির পর ১৩ বলে যোগ করেন ২১ রান। পুরান ঝড়ের মাঝেই প্রথম উইকেটের দেখা পেলেন মোসাদ্দেক। বলের লাইন মিস করে খেলতে গিয়ে আকিল ১ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে।
২৭ মাস পর দলে ফিরেই তাইজুলের চার উইকেট
শরিফুলের পরিবর্তে একাদশে ফিরে তাইজুলের বাজিমাত। উইন্ডিজের ৬ উইকেটের মধ্যে তার একার শিকারই ৪টি! সবশেষ তিনি খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২০ সালের মার্চে, করোনার আগে। তাইজুলের চতুর্থ শিকার কিমো পল। নুরুল হাসান সোহানের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
গা ঝাড়া দেওয়ার আগেই রোভম্যানকে ফেরালেন তাইজুল
মেহেদি হাসান মিরাজকে লং অফে ছয় হাঁকিয়ে খোলস ছেড়ে বেরোনোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রোভম্যান পাওয়েল। কিন্তু দিনটি যে পাওয়েলের ছিল না। পরের ওভারের প্রথম বলেই তাইজুলের শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। উইকেট থেকে বেরিয়ে জায়গা করে খেলতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হন এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। ২৮ বলে ১৮ রান করেন তিনি। তাইজুলের এটি তৃতীয় উইকেট।
৩৪ ওভারে ৪ উইকেটে উইন্ডিজের ১০০
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৬ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। চতুর্থ উইকেটে পুরান-কার্টির জুটিতে ধাক্কা সামাল দিয়ে ওঠে। তবে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেনি দলটি। বাংলাদেশের বোলাররা আঁটসাঁট বোলিংয়ে চাপে রেখেছিলেন তাদের। ১০০ রান করতেই দলটির লাগে ৩৪ ওভার! ৪ উইকেট হারিয়ে এ রান করে তারা।
কার্টির উইকেট নিয়ে নাসুমের ব্রেক-থ্রু
নাসুমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে তামিমের হাতে ধরা পড়লেন কার্টি। ১৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর পুরান-কার্টি জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ধীরে ধীরে খেলে দুজনে ক্রিজে থিতু হন। জুটি পেরিয়ে যায় ফিফটি। এ সময় বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দিলেন নাসুম। তার স্ট্যাম্প বরাবর বল জায়গা করে মিড অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন মায়ার্সের বদলে সুযোগ পাওয়া কার্টি। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। তামিমের সহজ ক্যাচে পরিণত হয়ে ফেরেন সাজঘরে। নাসুম পেলেন প্রথম উইকেটের দেখা। ৬৬ বলে ৩৩ রান করেন কার্টি। জুটি থেকে আসে ১২৮ বলে ৬৭ রান। ক্রিজে পুরানের সঙ্গী রোভম্যান।
পুরান-কার্টির ফিফটির জুটিতে উইন্ডিজের প্রতিরোধ
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন পুরান-কার্টি। শুরুর ধাক্কা সামলে দুজনে প্রতিরোধ গড়েছেন। মায়ার্সের বদলি হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন কার্টি। দুজনে প্রাথমিক কাজটা ভালোভাবেই সেরেছেন। ধীরে ধীরে খেলে ক্রিজে থিতু হচ্ছেন। রানরেট বাড়ানোর চেষ্টা করছেন পর্যায়ক্রমে। ১৫.৫ বলে দঃলীয় সংগ্রহ ৫০ পূর্ণ করেন দুজনে। দুজনের জুটি ইতিমধ্যে ৫০ রান পেরিয়ে গেছে। ১০০ বলে হাঁফ সেঞ্চুরির জুটি পূর্ণ করেন দুজনে।
পাওয়ার প্লেতে ২০ রানে ৩ উইকেটে হারিয়ে চাপে উইন্ডিজ
টস হেরে ব্যাটিং করতে বিপাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভারে আসে মাত্র ২০ রান। অর্থ্যাৎ ওভার প্রতি মাত্র ২ রান করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। উইকেট হারিয়েছে তিনটি। দুটি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ও একটি উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। পুরান-কার্টি জুটি বেঁধে বিপর্যয় সামলে কাঠিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন।
তাইজুল-মোস্তাফিজের আক্রমণে শুরুতেই বিপাকে উইন্ডিজ
কিংয়ের পর এবার তাইজুলের শিকার হোপ। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন শাই হোপ। তাইজুলের স্লোয়ার ডেলিভারি কাভারে খেলতে চেয়েছিলেন হোপ। কিন্তু টার্নের কাছে পরাস্ত হতে হলো। কিন্তু হোপের পা দাগ থেকে বেরিয়ে যায়, খুবই সুক্ষ ছিল। ততক্ষণে সোহান উইকেট ভেঙে দেন। টিভি আম্পায়ারের সহায়তায় সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। তার ব্যাট থেকে মাত্র ২ রান আসে। পরের ওভারেই আক্রমণে মোস্তাফিজুর রহমান। সাজঘরে পাঠালেন সামারা ব্রুকসকে। মোস্তাফিজের অফ-মিডল স্ট্যাম্পের মাঝে যাওয়া বল ব্রুকসের ব্যাট মিস করে লাগে প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন ব্রুকস। কিন্তু কোনো কাজে আসেনি। ৪ রান আসে ব্রুকসের ব্যাট থেকে। তাইজুল-মোস্তাফিজের আঘাতে ১৬ রান ৩ উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজ।
তাইজুলের প্রথম বলেই বোল্ড ব্রেন্ডন কিং
ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ব্রেন্ডন কিংকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠালেন তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের ফ্লাইট ডেইভারি পিচে পড়েই টার্ন করে স্ট্যাম্পে আঘাত করে। কিং ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বল টার্ন করায় পরাস্ত হন। ৯ বলে ৮ রান করেন কিং। তাইজুল নিজের প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।
বাংলাদেশ একাদশ
বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে এক পেসার ও তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে। পেসার শরিফুলের পরিবর্তে একাদশে স্পিনার তাইজুল ইসলাম। একমাত্র পেসার হিসেবে খেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
টানা তিন ম্যাচে তামিমের টস জয়
টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচেই টস হেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেদিক থেকে তামিম ইকবাল সৌভাগ্যবান। তিন ওয়ানডের প্রত্যেকটিতেই টস জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশ ফিল্ডিং নিয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজও নামছে এক পরিবর্তন নিয়ে। মায়ার্সের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন কার্টি।
শাই হোপ, ব্রেন্ডন কিং, নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), সামারা ব্রুকস, কিচে কার্টি, রোভম্যান পাওয়েল, আকিল হোসেন, কিমো পাওয়েল, রোমারিও শেইফার্ড, আলঝারি জোসেফ ও গুদাকেশ মতি।
খুলনা গেজেট / আ হ আ