খুলনা, বাংলাদেশ | ২৮ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯১৫
  ময়মনসিংহে ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু
  এমন রাষ্ট্র গঠন করতে চাই যা নিয়ে দুনিয়ার সামনে গর্ব করা যায়, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
  আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা-বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

ডুমুরিয়ার সুন্দরবুনিয়া লোহার সেতু এখন মরণ ফাঁদ

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া

ডুমুরিয়া উপজেলার কাঁঠালতলা-মাগুরখালী সড়কে সুন্দরবুনিয়া নদীর ওপর পুরাতন লোহার সেতুটির পাত ৮ম বারের মত ভেঙে পড়েছে। যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের মানুষ।

জানা যায়, ১৯৯১ সালে এলজিইডি উপজেলার কাঁঠালতলা-মাগুরখালী সড়কে সুন্দরবুনিয়া নদীর ওপর লোহার সেতু নির্মাণ করে। এরপর সংশ্নিষ্ট বিভাগ সেতুটি আর কখনও সংস্কার করেনি। ইতোমধ্যে সেতুটির লোহার পাত গুলোর প্রায় সব অংশই মরিচা পড়ে বিনষ্ট হতে শুরু করেছে। ইতিপূর্বে ৮ বার সেতুটির পাত ভেঙে পড়েছে। ঘটেছে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ আব্দুল হালিম মুন্না ও কলেজ ছাত্র এনামুল হোসেন জানান, সুন্দরবুনিয়া নদীর ওপর নির্মিত পুরাতন সেতুটির দিকে কারও নজর পড়ছে না। যে কোনো সময় পুরো সেতুটি ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সেতুটি পাত ভেঙে পড়ে এর আগে বেশ কয়েকটি ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে এবং এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্রুত সেতুটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সুন্দরবুনিয়ার ওই ভাঙ্গা সেতু পার হয়ে খুলনা-যশোর, সাতক্ষীরা জেলা এবং বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় পল্লী-শ্রী ও স্বর্ণ-দ্বীপ কলেজ এবং বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক-প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ মাগুরখালী ও মাদারতলা পুলিশ ক্যাম্পে যেতে হয়। তাছাড়া মাগুরখালী, শোভনা, মাগুরাঘোনা, খর্নিয়া ও আটলিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ওই সড়কের ওপর নির্মিত সেতুটি। এ অঞ্চলে মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, মৎস্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা শহরে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এ ভাঙ্গা সেতু পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। সেটি দ্রুত সংস্কার না হলে ওই অঞ্চলের মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হবে।

আটলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, সুন্দরবুনিয়া সেতুটি দ্রুত নষ্ট হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে ভাটার ইট বোঝাই ট্রাক চলাচল করা। ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে কয়েকবার সেতুটি সংস্কার করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদও কয়েকবার সেতুটি সংস্কার করেছে। এখন এটি ভেঙ্গে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। জনস্বার্থে সরকারি অর্থায়নে সেটি সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রতিনিয়ন ১/২টি করে পাত ভেঙে পড়ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) রবিউল ইসলাম বলেন, সংশ্নিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দীন উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটিতে সুন্দরবুনিয়া সেতুটি সংস্কারের বিষয়ে কয়েকবার কথা বলেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে সেটি সংস্কার করা হবে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!