ডুমুরিয়ায় পূর্ব-ঘোষিত উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। প্রথমে সদস্য সংগ্রহ, পরে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন। এরপর উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ খুলনা জেলা কমিটি থেকে বিভিন্ন উপজেলার সম্মেলনের দিন-তারিখ ঘোষণা করে। সেখানে প্রথমে ১৯ ফেব্রুয়ারি ও পরে ১১ মার্চ ডুমুরিয়া উপজেলা সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এরপর নতুন পদ-পদবির আশায় বেশ কয়েকজন নেতা বিশেষ তৎপরতা শুরু করেন। বিশেষ করে বিগত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে না পারা নেতৃবৃন্দ বর্তমান নেতৃত্বকে দোষারোপ করে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ-মতবিনিময় করে একটা পরিবেশ তৈরি করেন। পাশাপাশি নেতাদের ছবি ও পদ উল্লেখ করে সমগ্র ডুমুরিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান, সড়ক ও ভবনের সামনে সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর রং বে-রঙের ফেস্টুন-প্যানা ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু গত ২২ ফেব্রুয়ারি খুলনা জেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি- সাধারণ সম্পাদককে এক চিঠিতে বলেন, উপজেলার সকল ওয়ার্ডে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমে ইউনিয়ন সমুহের সকল ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে হবে। পরে জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলায় বসবাসকারী সম্মানিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ নাজিবুর রহমান বলেন, ২০১৫ সালের পর ৮ বছর চলে গেছে। তাই জেলা নেতৃবৃন্দ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথমে ওয়ার্ড পরে ইউনিয়ন, শেষে উপজেলা সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বাগত জানাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি ও সমবায় সম্পাদক সরদার আবদুল গণি বলেন, যারা দল করে, বা নৌকার পক্ষে, তাদের নিয়ে প্রত্যেক ইউনিয়নে কমিটি করার চেষ্টা করা হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, জেলা কমিটি সময়োচিত সিদ্ধান্তের ফলে ওয়ার্ড পর্যায় থেকে জনসাধারণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে। তখন তারাই বাস্তবতা বিবেচনা করে নতুন উপজেলা নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারবে বলে আশা করি।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী বলেন, আগে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিবাচিতরাই উপজেলা নেতৃত্ব নির্বাচন করবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড/এমএম