যশোর শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি হয়ে যাওয়া সাতটি ইজিবাইক ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। গোপালগঞ্জে চোর সিন্ডিকেটের ডেরায় হানা দিয়ে এসব চোরাই গাড়িগুলি উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে পুলিশ আন্তঃজেলা চোর চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলো, নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া গ্রামের সেলিম শেখ ওরফে হৃদয়, গোপালগঞ্জ সদর উপাজেলার ঘোষেরচর উত্তরপাড়া গ্রামের খোকন ঠাকুর ও আরুয়া কংসুক গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন। এছাড়া সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য সানু মেম্বার নামে আরো একজন পালিয়ে যায়।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৫ মার্চ দুপুরে শহরের খালধার রোড এলাকা থেকে কামাল হোসেনের ইজিবাইক ভাড়া করেন দু’জন অজ্ঞাত ব্যক্তি। এক পর্যায়ে ইজিবাইক নিয়ে তারা কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চালক কামাল হোসেন যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। পরে অভিযোগটি যশোর ডিবি পুলিশের কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ডিবি পুলিশ চুরির ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে যশোর উপশহর এ-ব্লক থেকে প্রাইভেটকারসহ চোর চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে এবং তাদের স্বীকারোক্তিতে শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জ সদরের আড়–য়া কংশুক এলাকায় অভিযান চালায়। এখানকার একটি গ্যারেজ থেকে তারা বিভিন্ন সময় চুরি যাওয়া সাতটি ইজিবাইক উদ্ধার ও গ্যারেজ মালিককে আটক করেন।
ডিবি পুলিশ আরও জানায়, গোপালগঞ্জে গড়ে উঠেছে একটির শক্তিশালী চোর সিন্ডিকেট। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজিবাইক, অটো রিকশা, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন চোরাই গাড়ি চলে যায় সেখানে। এরপর চক্রটি চোরাই যানবাহন কেনাবেচা করে। এ সিন্ডিকেটর সদস্য দেশে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বলে তারা জানতে পেরেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও আসামীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে যেয়ে দেখা গেছে আসামীরা তাদের পলাতক সহযোগীদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ইজিবাইক চুরি ছিনতাই করে। আটক আসামি সেলিমের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় আটটি চুরি মামলা, খোকনের বিরুদ্ধে ১টি মাদক মামলা। এছাড়া পলাতক সানু মেম্বারের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ছয়টি চুরি ও ছিনতাই মামলা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি