কড়া নাড়ছে ঈদ। অনেকেরই নতুন পোশাক ক্রয় শেষ। বাকি এখন ইমিটেশনের গহনা ও প্রসাধন সমগ্রী। রমজানের শেষ মুহুর্তে এসে জমে উঠেছে এসব দোকানের বেচাকেনা। ক্রেতাদের পদচারনায় খোশ মেজাজে আছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে তারা।
৯/১০ দিন বাদে ঈদ। অনেকে পেশাকের সাথে ম্যাচ করে কিনছেন ইমিটেশনের চুরি, কানের দুল ও গলার চেইনসহ অনেক কিছু। এবার ঈদে রমনীদের জন্য বিশেষ কালেকশন রয়েছে এসব দোকানে। এরমধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড কাঠের চুড়ি, স্টোনের চুড়ি, এডি স্টোনের চুড়ি, সিটি গোল্ড নিউ কালেকশন চুড়ি ও গলার চকার। তবে সব বয়সী নারীদের মধ্যে ডায়মন্ড কাঠের চুড়ি ও স্টোনের চুড়ি কেনার আগ্রহ বেশ দেখা গেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বিকিকিনি। থেমে নেই প্রসাধন সামগ্রীর বেচাকেনা। সেখানেও বাড়ছে ভিড়।
নগরীর খানজাহান আলী হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী ও জিকু এন্টারপ্রাইজের মালিক জাহাঙ্গীর আলম জিকু বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে ব্যবসা ভাল যাচ্ছিল না। বছরজুড়ে বেচাকেনা মোটামুটি ভাল চলে। প্রতিবছর রমজানের শুরুতে নানা ঝামেলা এড়ানোর জন্য অনেকেই অগ্রীম মালামাল কিনতে আসে। কিন্তু এবার দেখা গেছে তার ব্যতিক্রম। প্রথমদিকে ব্যবসা ভাল হয়নি। তবে ১৩ রমজান পার হওয়ার পর থেকে বেশ ভাল হচ্ছে। হরেক রকমের গহনা রয়েছে তার দোকানে। এগুলোর মধ্যে ডায়মন্ড কাঠের ও স্টোনের চুড়ি বেশ ভাল বিক্রি হচ্ছে। সব বয়সী নারীরা এ দু’টি কিনছেন বেশী।
তিনি আরও বলেন, ধনী দরিদ্র ভেদাভেদ সকলে এ মার্কেটে ইমিটেশনের গহনা কেনার জন্য আসে। তবে মধ্যম শ্রেণির মানুষের আগমন তার দোকানে বেশী।
ওই মার্কেটের অপর ব্যবসায়ী রফিক বলেন, ভারত থেকে ইমিটেশনের গহনা আমদানি করেছেন তিনি। রমজানের শুরুতে বিক্রির সাড়া না পেয়ে হতাশায় ছিলেন। ১৫ রমজান অতিক্রম করার পর থেকে দোকানে ক্রেতাদের সমাগম শুরু হয়। তিনি বেশ খুশি।
কথা হয় কমার্স কলেজের ফিনান্স বিভাগ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ইশর জাহান মুমুর সাথে। বাড়তি ঝামেলা এড়ানোর জন্য রমজান শুরু হওয়ার আগে পোষাক কিনেছেন। স্বল্পমূল্যে ইমিটেশনের গহনার জন্য এ মার্কেট বেশ পরিচিত। সকলে এখানে নিজের পচ্ছন্দের জিনিষ কিনতে এখানে ভিড় করে। অহেতুক বিড়ম্বনা দুর করে স্বস্তির জন্য তিনি বান্ধবীকে নিয়ে গহনা কিনতে মার্কেটে এসেছেন। পোষাকের সাথে মিল করে তিনি চুড়ি ও গলার একটি হার কিনেছেন। তবে অভিযোগ আগের তুলনা সব জিনিষের দাম একটু বেশী নেওয়া হচ্ছে।
এ অভিযোগের কারণ হিসেবে জিকু এন্টারপ্রাইজের একজন কর্মকর্তা জানান, ভারত থেকে তাদের অতিরিক্ত মূল্যে সবকিছু কিনতে হচ্ছে। তাই বাড়তি দাম নেওয়া।
প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যবসায়ী সুজিত দাস বলেন, দোকানে অনেক কিছুরই কালেকশন আছে। তার মধ্যে সুথিং জেল, ফেয়ারনেস ক্রিম ও ফেস ওয়াসের চাহিদা বেশী। সকল বয়সের নারীদের মধ্যে এগুলো কেনার প্রবণতা বেশী। বেচাকেনা বেড়েছে। তবে সামনে আরও বাড়বে বলে তিনি আরও জানান।