টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একাদশে সুযোগ না পাওয়া মিডল অর্ডার এই ব্যাটারকে দ্বিতীয় ম্যাচের দলে রাখা হয়নি। দল থেকে বাদ পড়ার পরদিনই ডিপিএলে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন হৃদয়। পূর্ণ করেছেন সেঞ্চুরি। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৮৪ বলে ১২৫ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন হৃদয়।
টাইগার এই ব্যাটারের দুর্দান্ত ইনিংসে ভরে করে রুপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে আবাহনী লিমিটেড।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) টস জিতে আগে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রুপগঞ্জ টাইগার্স। এনামুল হক বিজয় এবং নাঈম শেখের উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু করে আবাহনী। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৬ রান। ২৯ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান বিজয়।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জাকের আলী অনিককে নিয়ে এগোতে থাকেন নাঈম শেখ। ভালো শুরু পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি নাঈম। ৫৫ বলে ৩১ রান করে বিদায় নেন। এরপর দ্রুত আউট হয়ে গেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। ১৪ বলে ৭ রান করেন তিনি।
এরপর জাকের আলি ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে এগোতে থাকে আবাহনীর ইনিংস। দুজনের জুটি থেকে আসে ১৪০ রান। জাকের শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির আক্ষেপ (৯৫ বলে ৭৮ রান) নিয়ে ফিরলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮৪ বলে ১২৫ রান করে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চার ও ছয় ছক্কায়।
হৃদয়কে শেষ দিকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২৬ বলে ৪৩ রান করেছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। দুজনের ব্যাটে তিনশো ছাড়ানো সংগ্রহ পায় আবাহনী।
খুলনা গেজেট/ এএজে