টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করলো টাইগাররা। লিটন-আফিফের ভিত গড়া সূচনার পর অধিনায়কসাকিব-হৃদয়ের ব্যাটিংয়ে জয় পায় বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে বড় পেয়েছে স্বাগতিকরা।
স্কোর :
আফগানিস্তান ১৭ ওভারে ১১৬/৭
বাংলাদেশ ১৬. 1 ওভারে ১19/৪ (বৃষ্টি আইন)
এর আগে ওপেনিংয়ে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন বাংলাদেশি ওপেনার লিটন দাস। মুজিব উর রহমানের বলে কভারে রশিদ খানের এক হাতে নেওয়া দুর্দান্ত ক্যাচে ৩৫ রানে থামেন লিটন। ৩৬ বলের ইনিংসে ছিল ৬ চার। দ্বিতীয় বলে নতুন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত এক রান নেন। স্ট্রাইকে এসে আফিফ ক্যাচ দেন করিম জানাতকে। ২৪ রান করেন এই ওপেনার। তার ২০ বলের ইনিংসে ছিল ২টি ছয়।
প্রথমবার ওপেনিংয়ে নেমে আশা জাগানিয়া ব্যাটিং করছেন আফিফ হোসেন। তার সঙ্গে লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটি বেশ জমে উঠেছে। ৫ ওভারের পাওয়ার প্লেতে তারা তোলেন ৫০ রান।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশের পাওয়ার প্লে ৫ ওভারের, যেখানে দারুণ ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যায়। কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান বাংলাদেশের। লিটন ২৯ রান করেন, আফিফের ১৩ রান। আফগানিস্তানের পক্ষে ওয়াফাড ও মুজিব দুটি করে উইকেট লাভ করেন।
তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত রঙিন জার্সিতে হতাশার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন। ওয়ানডের পর আফগানদের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সুবিধা করতে পারলেন না। ১১৯ রানের লক্ষ্যে নেমে এক বলের বিরতিতে লিটন দাস ও আফিফ হোসেন ফেরার পর হাল ধরতে পারেননি তিনি। মাত্র ৬ বলে ৪ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ইয়র্কারে বোল্ড হলেন শান্ত। আগের ম্যাচে ১৪ রান করেন তিনি। ওয়ানডে সিরিজে রান ছিল ১২, ১, ১১।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১১ বলে ১৮, তৌহিদ হৃদয় ১৭ বলে ১৯ রান করেন।
বৃষ্টিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় থমকে ছিল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে যায় ১৭ ওভারে। আফগানদের ইনিংসের ৭.২ ওভারে নামে বৃষ্টি। পরে খেলতে নেমে দারুণ বোলিং করেছে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ৩৯ রান ছিল আফগানদের। বাকি সময়ে সফরকারীরা ৭ উইকেটে করেছে ১১৬ রান। তবে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে জিততে করতে হবে ১১৯ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন তাসকিন। দুটি করে পান সাকিব ও মোস্তাফিজ।
শুক্রবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান করে আফগানিস্তান। টার্গেট তাড়ায় ১ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পায় বাংলাদেশ।
এর আগে ২০১৮ সালে দেরাদুনে ৩-০ ব্যবধানে হারে টাইগাররা। গত বছর মিরপুরে দুই ম্যাচের সিরিজটি ড্র হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি