আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রানতাড়ায় সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। নিউজিল্যান্ডকে তারা ১৪০ রানের মধ্যে বেধে ফেলেছিল। এরপর ১০ উইকেট এবং ৩৩ বল হাতে রেখেই সেই লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে লঙ্কানরা। এমন জয়ে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন দলটির অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। মাত্র ৪৭ বলে তিনি খেলেছেন ৮০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।
বুধবার (১২ জুলাই) কলম্বোয় টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই দখলে ছিল কিউইদের। তাই লঙ্কানদের লক্ষ্য ছিল ধবলধোলাই এড়ানো। সেই লক্ষ্যে তারা কিউই মেয়েদের দেড়শ রানের আগেই আটকে দেয়।
শুরুর দিকে ভালো রান তুললেও শেষদিকে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক সোপি ডিভাইন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছিলেন। ২৫ বলের ঝড়ো এই ইনিংসে তিনি ২টি চার এবং ৩টি ছয় হাঁকান। এছাড়া ওপেনার সুজি ব্যাটস করেন ৩৭ রান। লঙ্কানদের হয়ে ইনোকা রানাউয়িরা সর্বোচ্চ ৩টি এবং ২টি উইকেট পেয়েছেন সুগন্দিকা কুমারি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন আতাপাত্তু। ২ ছক্কা ও ১৩ চারে তার ইনিংসটি সাজানো। এই পথচলায় ২৫ বলে ফিফটি করেন লঙ্কান অধিনায়ক। নারী টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার হয়ে যা দ্রুততম। আরেক ওপেনার হার্শিথা সামারাবিক্রমার ব্যাট থেকে আসে ৭ চারে ৪৯ রান। আতাপাত্তুর সঙ্গে তার ১৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন উদ্বোধনী জুটিও যেকোনো উইকেটে শ্রীলঙ্কার রেকর্ড।
টি-টোয়েন্টিতে এনিয়ে তিনটি শতরানের জুটি পেয়েছে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। অন্য দুটি চতুর্থ উইকেটে, বাংলাদেশের বিপক্ষে অবিচ্ছিন্ন ১০২ ও ১০৪। তিনটি জুটিতেই জড়িয়ে আছেন হার্শিথা। বড় জয়ে বিব্রতকর সিরিজ থেকে নিজেদের বাঁচিয়েছেন লঙ্কানদের ওপেনিং জুটি।
এর আগে মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডের। ২০১৮ সালে তারা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৭ রান তাড়ায় জয় পায়। পাঁচ বছর পর তার রেকর্ড ভেঙে দিলো লঙ্কান মেয়েরা।
খুলনা গেজেট/এনএম