যশোরে টানা তিনদিনের বৃষ্টিপাতে শহরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। শনিবার রাত তিনটা থেকে একটানা অঝোর ধারার বৃষ্টির কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে থৈ-থে করছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে এলাকাবাসী।
শনিবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনেকের বসত ঘরে পানি উঠেছে। ঘরের আসবাবপত্র তলিয়ে আছে পানির নিচে। বিশেষ করে শহরের শংকরপুর, খড়কী, বেজপাড়া, বারান্দীপাড়া, পিটিআই রোড, স্টেশন রোড, ঘোপের একটি অংশের মানুষ পড়েছে নিদারুণ কষ্টে। কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও তার থেকেও বেশি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকেছে।
শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদের সামনের সড়কে দেখা যায়, পানি থৈ-থৈ করছে। পানির কারণে মানুষজন চলাচল করতে পারছে না। রাস্তার গর্ত থাকায় যানবহনগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। ইছহক সড়কের সামনের অবস্থা আরো বেহাল। সেখানে হেটে চলাচলের উপায় নেই। শহরের পিটিআই স্কুলের সামনের রাস্তা দেখে বোঝার উপায় নেই, সেটা রাস্তা না কোনো ডোবা-পুকুর। ওই এলাকার অনেকের ঘরে পানি ঢুকেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
যশোর সরকারি এমএম কলেজ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের ঘর থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। খড়কী কবরস্থানপাড়ার একটি অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। খড়কি ধোপাপাড়ার নিচু এলাকায় হাটু পানি জমেছে। বেজপাড়া মেইনরোড, বনানী রোড এলাকার অবস্থা একই। ওই এলাকার মানুষের দাবি, সেখানে পানি জমলে ওই পানি নামতে মাসের পর মাস লেগে যায়। শহরের রেলস্টেশন রোডেরও বেহাল দশা। খানাখদ্দক পূর্ন রাস্তাটিতে একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা। যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ওই রাস্তার বেশ কয়েকটি স্থান। বারান্দীপাড়া মাঠপাড়া, বটতলা চাতাল, নাথপাড়া, কলোনী ও সিটি কলেজপাড়ার একটি অংশ পানিতে তলিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে মাঠপাড়ার অবস্থা বেহাল। সেখানে ঘরের মধ্যেও পানি উঠে গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার দুপুর তিনটা পর্যন্ত ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এলইসি গনেষ চন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।