ফেভারিট হিসেবেই যুব বিশ্বকাপ খেলতে আর্জেন্টিনায় পা রেখেছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের যুবারা। কিন্তু নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ইতালির কাছে হেরে বসে তারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে নেইমার-ভিনিসিয়ুসদের উত্তরসূরিরা। টানা তিন ম্যাচ জিতে এখন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল।
বুধবার (৩১ মে) রাতে আর্জেন্টিনার দিয়েগো আরমান্দো স্টেডিয়ামে শেষ ষোলর ম্যাচে তিউনিসিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিলের যুবারা। দলটির হয়ে জোড়া গোল করেন আন্দ্রে সান্তোস, একটি করে গোল করেন মার্কোস লিওনার্দো ও ম্যাথিউস মার্টিনস সিলভা দস সান্তোস। তিউনিসিয়ার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মাহমুদ ঘোরবেল। তবে বিরতির ঠিক আগে রাবার্ট রেনান লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল।
পুরো ম্যাচে ৫৫ শতাংশ বল পজিশনে রেখে এগিয়ে ছিল তিউনিসিয়া। প্রতিপক্ষের গোলে ২৪টি শট নিয়েছিল তারা। কিন্তু জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। অন্যদিকে ব্রাজিল রেখেছিল ৪৫ শতাংশ বল পজিশন। তারা প্রতিপক্ষের গোলে শট নিয়েছিল ১১টি। সেখান থেকে চারটি গোল আদায় করতে সক্ষম হয় সেলেসাও যুবারা।
শক্তির বিচারে যে ব্রাজিল তিউনিসিয়ার চেয়ে এগিয়ে তা প্রমাণে বেশি সময় নেয়নি সেলেসাওরা। ম্যাচের ১১তম মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় টুর্নামেন্টের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। সফল স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি মার্কোস লিওনার্দো।
ম্যাচের ৩১তম মিনিটে মার্কোস লিওনার্দোর অ্যাসিস্ট থেকে ব্রাজিলের লিড দ্বিগুণ করেন আন্দ্র সান্তোস। ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে কিছুটা খেলায় ফেরার চেষ্টা করে তিউনিসিয়া। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। তবে বিরতির ঠিক আগে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল। প্রথমার্ধ যখন প্রায় শেষের পথে তখনই তিউনিসিয়ান ফরোয়ার্ডকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন রবার্ট রেনান।
বিরতি থেকে ফিরে ১০ জনের ব্রাজিলকে চেপে ধরে তিউনিসিয়ার যুবারা। তবে ব্রাজিলের রক্ষণভাগের দৃঢ়তা এবং তিউনিসিয়ানদের বোঝাপড়ার অভাবে গোল পেতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। উল্টো অতিরিক্ত সময়ে আরও দুই গোল হজম করে দলটি।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে ব্রাজিলের তৃতীয় গোলটি করেন ম্যাথিউস মার্টিনস। ইনজুরি টাইমের দশম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন আন্দ্রে সান্তোস। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে তিউনিসিয়ার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মাহমুদ ঘোরবেল।
খুলনা গেজেট/এসজেড