যশোরের ঝিকরগাছার পল্লীতে তিন সন্তানের জননী সখিনা বেগম সখি হত্যাকারীকে পুলিশ আটক করেছে। নিহতের স্বামী নিয়াম উদ্দিন আটক আসামি মিজানুর রহমান মিজানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামি মিজান প্রাথমিকভাবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এরপর তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঝিকরগাছার হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামের নিয়াম উদ্দিনের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী সখিনা বেগম সখি (৪০) রোববার বিকেলে সোনাকুড় নিজ বাড়ি থেকে বাঁকড়ার পার্শ্ববর্তী কপোতাক্ষ নদীর ওপারে মণিরামপুরের পাঁচপোতা গ্রামের পিত্রালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু তিনি পিত্রালয়ে যাননি। সোমবার সকাল দশটার দিকে সোনাকুড় গ্রামের তালসারি মাঠে সাত্তারের লেবু বাগানে এলাকাবাসী তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতে বাঁকড়া ইউনিয়নের খোসালনগর গ্রাম থেকে সোমবার দুপুরে কাজ করা অবস্থায় বাঁকড়ার রাজ্জাক বিশ্বাসের মাটি কাটা গাড়ির ড্রাইভার সোনাকুড় গ্রামের ওহাব আলীর পুত্র মিজানুর রহমান মিজানকে (৫০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা মিজান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রামবাসী বলছে, আটক মিজান ড্রাইভারের সাথে দীর্ঘ পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে।
ঝিকরগাছার বাঁকড়া আইসি ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের দাগ ছিল। যশোর জেনারেল হাসপাতালে তার ময়না তদন্ত শেষে সোনাকুড় গ্রামের স্বামীর পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রামের ওহাব আলীর পুত্র মিজান (৫০) ঝিকরগাছা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং মঙ্গলবার বিকেলে যশোর আমলি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।