করোনা মহামারীর কারণে ক্রিকেট বিশ্ব থমকে গেলে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয় জৈব সুরক্ষা বলয়। ক্রিকেটারদের একটি নির্দিষ্ট সীমানায় আবদ্ধ রেখে বাইরের দুনিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়। এতে কমে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি। তবে একইসাথে ক্রিকেটারদের মানসিক ধকলেরও কারণ হয়ে ওঠে এই বলয় বা বায়োবাবল।
তাই দ্রুতই খলনায়কের রূপ নেয় এই জৈব সুরক্ষা বলয়। প্রথমত, জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেও করোনার মত ছোট্ট ভাইরাসকে পুরোপুরি রুখে দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। দ্বিতীয়ত, বলয়ে আবদ্ধ থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে ওঠেন ক্রিকেটাররা।
ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যর কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাই জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে বের হয়ে এসেছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, আফগানিস্তান সিরিজ হয়েছে অলিম্পিকের সুরক্ষা নীতি মেনে, যেখানে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মত এত কড়াকড়ি নেই। এমনকি সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ছিল না কঠোর জৈব বলয়।
এবার ভারতের বোর্ড বিসিসিআইও সেই পথে মাড়াল। ভারতের আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে আর জৈব সুরক্ষা বলয়ে আশ্রয় নিচ্ছে না সৌরভের বোর্ড। বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ বিষয়টি নিশ্চিতও করেছেন। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসার কারণেই মূলত এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ভারত।
জয় শাহ বলেন, ‘যদি ভুল না করে থাকি, আইপিএল ২০২২ এর বায়োবাবলই ছিল সর্বশেষ বায়োবাবল। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা করান হবে, তবে কোনো বায়োবাবল থাকবে না।’
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ভরাডুবির পেছনে জৈব সুরক্ষা বলয়ের দায় দেখেছিলেন অনেকে। বিশ্বকাপের আগে আইপিএলে খেলা ক্রিকেটাররা টানা ক্রিকেট তথা বলয়ে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে ওঠেন, যার প্রভাব পড়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে। এই ধকলের বিষয়টিও ভাবিয়েছে বিসিসিআইকে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৯ থেকে ১৯ জুন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত, যথাক্রমে দিল্লী, কটাক, বিশাখাপত্তনম, রাজকোট ও ব্যাঙ্গালোরে।
খুলনা গেজেট/ টি আই