খুলনা, বাংলাদেশ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৪ মে, ২০২৪

Breaking News

  কাল থেকে দেশের সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সুন্দরবনের গহিনে জ্বলছে আগুন
  দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
  মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
নেতৃত্বে পরিবর্তন প্রয়োজন

জেলা পরিষদের দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে প্রার্থী হয়েছি : বাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেছেন, জেলা পরিষদ অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সে কারণে জেলা পরিষদের নেতৃত্বে পরিবর্তন প্রয়োজন। আর সেই পরিবর্তন আনার জন্য তিনি প্রার্থী হয়েছেন।

বুধবার বিএমএ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রার্থীতার বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখা এবং প্রচারণার বিষয়ে জানাতে তিনি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. বাহার বলেন, প্রচার আছে জেলা পরিষদে কোনো কাজ করতে গেলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া সেখানে কোনো কাজ করা যায় না। এই ৮ বছরে জেলা পরিষদে একটি নষ্ট সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, গত ৮ বছরে খুলনা জেলা পরিষদ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দু’একজন প্রভাবশালী চেয়ারম্যান ছাড়া সাধারণ ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। খুলনার উন্নয়নে সরকার জেলা পরিষদে যে বরাদ্দ দিয়েছে, তা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেনি। জেলা পরিষদের নীতি নির্ধারণে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বর ভূমিকা নেই বললেই চলে। তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো জরুরি।

বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি বলেন, আসন্ন নির্বাচন যেন কোনো অপশক্তি প্রভাবিত করতে না পারে। ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারে। তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনের আগে কালো টাকার ছড়াছড়ি হতে পারে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই যুগ্ম সম্পাদক।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নয়, প্রায় ৮ বছর দায়িত্ব পালন করা চেয়ারম্যান বা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আমি প্রার্থী হয়েছি। আমি আশা করবো ভোটের মাঠে তিনি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পদটি ব্যবহার করবেন না। কারণ এই পদটি ভোটাররা ভয় পায়।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো। নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। অপর প্রার্থী মোর্ত্তজা রশিদী দারার বিষয়টি জানি না। তবে তিন প্রার্থীর মধ্যে যদি কেউ বসে যায়, তিনি হবেন শেখ হারুনুর রশীদ।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!