যশোর জেলার ২১টি স্থায়ী হাটে পাওয়া যাচ্ছে কোরবানির পশু। এসব হাটে এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়। চলছে সমানতালে পশু বেচাকেনা। হাটে আসা পশুর স্বাস্থ্য সঠিক আছে কিনা, তা যাচাইয়ে কাজ করছে ২৪টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলার আটটি উপজেলা এলাকায় মোট ২১টি স্থায়ী পশুহাট রয়েছে। এসব হাটের মধ্যে সদর উপজেলায় চারটি, ঝিকরগাছায় দুটি, শার্শায় দুটি, মণিরামপুরে তিনটি, কেশবপুরে দুটি, অভয়নগরে তিনটি, বাঘারপাড়ায় চারটি ও চৌগাছায় একটি। সদর উপজেলার চারটি হাট হচ্ছে, রূপদিয়া, বারীনগর, নিউমার্কেট ও কোদালিয়া গ্রামে।
সোম ও শুক্রবার রূপদিয়া, রবি ও বৃহস্পতিবার বারীনগর, শনি, সোম, বুধ ও শুক্রবার নিউমার্কেট এবং সোমবার কোদালিয়া গ্রামে পশুহাট বসে। ঝিকরগাছা উপজেলায় দুটি হাট হচ্ছে, ঝিকরগাছা বাজার ও ছুটিপুর। বৃহস্পতি ও রোববার ঝিকরগাছা এবং সোমবার ছুটিপুরের হাট বসে। শার্শার দুটি হাট হচ্ছে, নাভারণ ও সাতমাইল। বুধবার নাভারণ এবং শনি ও মঙ্গলবার সাতমাইলের হাট হয়। মণিরামপুরের তিনটি হাট হচ্ছে, মণিরামপুর, রাজগঞ্জ ও নেহালপুর। শনি ও মঙ্গলবার মণিরামপুর, সোম ও বুধবার রাজগঞ্জ এবং সোম ও বৃহস্পতিবার নেহালপুরে পশুহাট বসে।
কেশবপুরের দুটি হাট হচ্ছে, কেশবপুর ও সরসকাটি। সোম ও বুধবার কেশবপুর এবং রোববার সরসকাটির পশুহাট বসে। অভয়নগরের তিনটি হাট হচ্ছে, নওয়াপাড়া পৌরসভা, মরিচা ও নাওলি। শনি ও মঙ্গলবার নওয়াপাড়া, বুধবার মরিচা এবং ঈদের আগের দিন নাওলিতে পশুরহাট বসবে। বাঘারপাড়ার চারটি হাট হচ্ছে, চাড়াভিটা, ভাংগুড়া, নারিকেলবাড়িয়া ও খাজুরা ভাটার আমতলা। বুধবার চাড়াভিটা, সোমবার ভাংগুড়া, মঙ্গলবার নারিকেলবাড়িয়া এবং রবি ও শুক্রবার খাজুরা ভাটার আমতলায় পশুহাট বসে।
চৌগাছার একটি হাট হচ্ছে, পৌরসভার বেলের মাঠ। এখানে সপ্তাহে রবি ও বুধবার হাট বসে।
জেলাব্যাপী এসব হাটে বর্তমানে ২৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদুল হক।
তিনি জানান, সদর উপজেলায় সাতটি, ঝিকরগাছায় দুটি, শার্শায় দুটি, মণিরামপুরে তিনটি, কেশবপুরে দুটি, অভয়নগরে তিনটি, বাঘারপাড়ায় চারটি ও চৌগাছায় একটি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এসব টিমে ভেটেরিনারি ডাক্তারদের সমন্বয়ে অন্যান্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। মূলত তারা রোগাক্রান্ত পশুর খোঁজ রাখছেন ও সন্দেহ হলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, এ বছর যশোরে সর্বমোট পশু উৎপাদন হয়েছে ৯৫ হাজার ৭শ’ ১০টি। এবার কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৯১ হাজার ১শ’ ৮৮টি পশুর। এরপরও উদ্বৃত্ত থাকবে ৪ হাজার ৫শ’ ২২টি পশু। যশোরে উৎপাদিত পশুর মধ্যে রয়েছে ২৫ হাজার ৬৮০টি ষাঁড়, ২ হাজার ৯৩টি বলদ, ১ হাজার ৩৯৭টি গাভী, ৬৫ হাজার ৯৮৩টি ছাগল ও ৫৫৭টি ভেড়া। পাশাপাশি কোরবানির জন্য চাহিদাকৃত ৯১ হাজার ১৮৮টি পশুর মধ্যে রয়েছে ষাঁড় ২৪ হাজার ৪৮০টি, বলদ ২ হাজার ৭৮টি, গাভী ১ হাজার ৩৯৭টি, ছাগল ৬২ হাজার ৬৭৬টি ও ভেড়া ৫৫৭টি।
খুলনা গেজেট/এমএম