জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদ ও ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেট দেয়ার অভিযোগে শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়ের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) মাগুরা মহম্মদপুরের ভাবনপাড়া গ্রামের রিমিকা পারভীন রিমু বাদী হয়ে এ মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন, শার্শার ডিহি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, মেম্বার জজ মিয়া, খলিসাখালি গ্রামের মিসির বেপারি, মোনতাজ হক, সামছুল বেপারী ও শহিদুল বেপারী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে জানতে পারেন রিমু। যার তদন্ত করছে সিআইডি পুলিশ। এরপর গত ১০ মার্চ তিনি যশোর সিআইডি অফিসে যান। এদিন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা রিমুকে মামলা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখান। সেখানে দেখতে পান তার স্বামীরস্থলে অপর এক ব্যক্তির নাম এবং তার মেয়ের জন্ম সনদ ও ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেটে তার পিতা ওলিয়ার রহমানের পরিবর্তে আব্দুল গণি নামে এক ব্যক্তির নাম লেখা হয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ জালিয়াতি করেছেন। তাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে সাথে নিয়ে এ জালিয়াতি করেছেন। এ কারণে তিনি আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি