খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকার চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র
  ২০২৫ সালে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের দাবি

জঙ্গি সাজিয়ে পিটিয়ে স্বীকারোক্তি, ফাঁসির দণ্ড নিয়ে কারাগারে ধুকছে খুলনার মুরাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তারের পর ১৭ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন খুলনার যুবক মুরাদ হোসেন। এর মধ্যে ঝালকাঠি আদালতের পিপি হায়দার হোসেন হত্যা মামলায় তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মুরাদের পরিবার দাবি করেছে।

পারিবারিক সম্পদ ভাগ বাটোয়ারা ও রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে ২০০৭ সালে বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় র‌্যাব। প্রথমে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দেওয়া হয়। পরে মুরাদকে ঝালকাঠি আদালতের পিপি হায়দার হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় রিমান্ডে নিয়ে পিটিয়ে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। সেই জবানবন্দির আলোকে আদালত মুরাদকে ফাঁসির আদেশ দেন। অন্য দুটি মামলায় মুরাদ খালাস পেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তার ছোট ভাই মো. নয়ন বলেন, গ্রেপ্তারের সময় মুরাদ হোসেন সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। ওই সময় জেএমবি বা জঙ্গি শব্দটিই ছিল আতংকের নাম। তখন মুরাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাড়াননি। জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনও গ্রহণ করা হয়নি। একই সঙ্গে তার বাবাকে চাপ দিয়ে মুরাদকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করানো হয়।

নয়ন দাবি করেন, ওই মামলায় ৫ জনের ফাঁসি হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনই পলাতক। অন্য যাদের ফাঁসি হয়েছে তিনিও মুরাদকে চিনতেন না। কারাগারে দেখা করতে গেলে মুরাদ বলতো, জঙ্গি মামলায় জেএমবির যত নেতা কারাগারে আসতো, মামলায় হাজিরা দিতে যেতো কেউই মুরাদকে চিনতো না। সবাই মুরাদকে দেখে আফসোস করতো।

তিনি বলেন, জঙ্গি মামলায় ভাইয়ের ফাঁসির সংবাদে তারা সামাজিকভাবে অনেক নিগ্রহের স্বীকার হয়েছেন। মুরাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও হয়রানির শিকার হতে হতো। এসব কষ্ট নিয়ে ২০১৯ সালে বাবা মারা যান। এর বিরুদ্ধে কথা বলার কোনো পরিবেশ ছিল না।

সংবাদ সম্মেলনে নয়ন ঝালকাঠি আদালতের পিপি হায়দার হোসেন হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত দাবি করেন। একই সঙ্গে প্রকৃত খুনীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং তার ভাইকে মুক্তি দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!