পাইকগাছায় ব্যবসায়ীর কাছে চিঠি দিয়ে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় চাঁদাবাজ চক্রের দু’সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটক আসামিরা হচ্ছে উপজেলার নাছিরপুর গ্রামের আক্কাজ আলী সানার ছেলে কামাল হোসেন (৩৭) ও মামুদকাটির মুনছুর আলী খাাঁর ছেলে মুনমুন খাঁ (৩২)।
এব্যাপারে পাইকগাছা থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। আটককৃতদের বুধবার (৯ মার্চ) সকালে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাইকগাছা থানার এসআই তাকবির হোসাইন জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে উপজেলার কপিলমুনির যমুনা ফিস’র মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী চিত্তরঞ্জন মন্ডলের নিকট ৫/৬ জন অপরিচিত যুবক একটি চিঠি দিয়ে যায়। এরপর তিনি চিঠিটি খুলে পড়ে দেখেন যে, তার কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। যথা সময়ে টাকা না দিলে তার ছেলেকে অপহরণপূর্বক গুম করারও হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি প্রথমে আমলে না নিলেও পরে একাধিকবার তাকে চাঁদার দাবিতে মোবাইলে হুমকি প্রদান করা হলে গত সোমবার (৭ মার্চ) তিনি বিষয়টি পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমানকে জানালে তার পরামর্শে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন।
এরপর থানার ওসি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোম ও মঙ্গলবার দু’দিনে সংঘবদ্ধ চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেন। এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানানো হয়।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, আটককৃতদের বুধবার সকালে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিসাট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, এলাকায় উঠতি বয়সী ছেলেদের নিয়ে একটি চক্র সংগঠিত হয়েছে। ঘটনায় অন্যান্যরা পলাতক এবং তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আটক মুনমুনের নামে পাইকগাছা থানায় ধর্ষণসহ আরও তিনটি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই