ট্রাক বোঝাই ২৩৩ বস্তা চিনি যশোর থেকে উদ্ধার হয়েছে। একই সাথে ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। রাজবাড়ী থেকে ট্রাক বোঝাই এ চিনি ছিনতাই হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের কুদ্দুস খানের ছেলে শামীম রেজা (৩৪), একই গ্রামের মৃত ওমর আলী খানের ছেলে নাজিম খান (৩৮), মুনসেফপুর গ্রামের ইউনুস মোল্লার ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৩), ট্রাকের চালক কেশবপুর উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের সরদারপাড়ার লিয়াকত আলী সরদারের ছেলে আবুল বাশার (৩০) ও একই গ্রামের মৃত ওয়াজেদের ছেলে বাবু মিয়া (২৫)।
যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানায়, জননী ফুড কোম্পানির ৪শ’ বস্তা চিনি নিয়ে একটি ট্রাক সিলেট থেকে রংপুর যাচ্ছিল। গত ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টার দিকে ট্রাকটি রাজবাড়ী সদরের খানখানাপুর বড় ব্রিজ এলাকায় পৌছায়। এসময় ট্রাকের চালক আবুল বাশারের যোগসাজশে ছিনতাইকারী চক্র সড়কে প্রাইভেটকার ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাকটি থামিয়ে ছিনতাই করে। এ সময় তারা ট্রাকে থাকা ওই কোম্পানির শ্রমিক সরোয়ার হোসেনকে জোরপূর্বক ট্রাক থেকে নামিয়ে প্রাইভেটকারে তুলে হাঁত-পা বেঁধে ফরিদপুরের কানাইপুর এলাকায় মহাসড়কের পাশে ফেলে দেয়। পরে ২৬ অক্টোবর ভোর ৪টার দিকে সরোয়ার হাত পায়ের বাধঁন খুলে ঘটনাটি তার ভাই মোবারক হোসেনকে জানান। তিনি ঘটনাটি জানার পরই জননী ফুড প্রোডাক্ট কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার তানজিল ইসলামকে জানান।
এ ঘটনায় ২৭ অক্টোবর তানজিল ইসলাম বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন। এরপর ২৮ অক্টোবর রাতভর যশোর কোতোয়ালি থানা, অভয়নগর থানা ও কেশবপুর থানা পুলিশ সাথে নিয়ে অভিযান চালায় রাজবাড়ী পুলিশ। এসময় তারা ছিনতাই হওয়া ২৩৩ বস্তা চিনিসহ ট্রাক ও চিনি বিক্রির নগদ দুই লাখ টাকা উদ্ধার করে। সেই সাথে এ ঘটনায় জড়িত ট্রাকচালক আবুল বাশারসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাজবাড়ী থানা পুলিশের একটি টিম ছিনতাইকৃত ট্রাক উদ্ধারে যশোরে আসে এবং তারা পুলিশি সহযোগিতা চায়। তাদের সাথে যোগ দেয় যশোর পুলিশের একটি টিম। রাতব্যাপী তারা অভিযান চালিয়ে ২৩৩ বস্তা চিনি যশোরের কচুয়া ও কেশবপুর থেকে উদ্ধার ও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি চিনি গ্রেপ্তারকৃতরা দু’লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে বলে স্বীকার করে ও সেই টাকাও পুলিশ উদ্ধার করেছে।
খুলনা গেজেট/কেডি