যশোরের চৌগাছায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উপজেলা চত্তরে ৪ দিনব্যাপী গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা ও আমরাই আগামী সংগঠনের সার্বিক আয়োজনে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেলার উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. এম মোস্তানিছুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস, চৌগাছা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম, এবিসিডি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম প্রমূখ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আমরাই আগামী সংগঠনের সভাপতি আজিমুর রহমান সোহান।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গ তথা সমস্ত বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগনের নিকট একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। একুশ আমাদের মাথা নত না করতে শিখিয়েছে। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত।
তিনি বলেন ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলকে পূর্ব পাকিস্থানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষনে অনেক তরুন শহীদ হন। সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউর, বরকতসহ অসংখ্য শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা মায়ের ভাষাকে পেয়েছি। মাতৃভাষার প্রতি সকলের আরও বেশি শ্রদ্ধাশীল ও সম্মান দেখাতে হবে। বাংলা ভাষা অত্যান্ত সমৃদ্ধ একটি ভাষা। এই ভাষার প্রতি আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে। ভাষার ব্যবহারের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। ভাষার মর্জাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে।
প্রধান অতিথি অরো বলেন, তরুনদের উদ্যোগে এমন একটি আয়োজন সত্যিই আমাকে অভিভূত করেছে। আমি তাদের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেনের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন নেতৃবৃন্দ। একই সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন কলেজ প্রধানদের সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।
অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন থানার ওসি তদন্ত জিল্লাল হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান হবিবর রহমান হবি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, আমরাই আগামী সংগঠনের পৃষ্টপোষক ফিরোজ হুসাইনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উদ্বোধন ও আলোচনা শেষে বৈশাখী মঞ্চে অনুষ্ঠিত একুশ আমার প্রেরণা নামক গীতি আলেখ্য অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক শাহানুর হোসেন।
গ্রন্থমেলাতে মোট ১৭টি স্টলে বিভিন্ন লেখকদের লেখা বই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান আয়োজকরা।
খুলনা গেজেট/ এএজে