যশোরের চৌগাছায় এক পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনার থানা পুলিশ ঘাতক স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে। নিহত আয়েশা বেগম (১৮) যশোর সদর উপজেলার দিয়াপাড়া গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের মেয়ে। রোববার (২৫ এপ্রিল) রাতে চৌগাছা পৌরসভার মাঠপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আটক দু’জন হলেন, মাঠপাড়া এলাকার হাসানুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন (২২) ও তার মা বিলকিস বেগম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১১টার দিকে ইমরান ও তার পরিবারের সদস্যরা স্ত্রী আয়েশা বেগমকে তুচ্ছ ঘটনায় বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে পাষন্ড স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এক পর্যায়ে তারা চিৎকার শুরু করে বলে, আয়েশা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তখন প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে দেখে ঘরে মেঝেতে আয়েশার নিথর দেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় পুলিশের সন্দেহ হয় আয়েশাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইমরান ও তার মা বিলকিস বেগমকে আটক করে।
আয়েশার মা কুলসুম বেগম বলেন, এক বছর আগে ইমরানের সাথে আয়েশার বিয়ে হয়। ভালই চলছিল তাদের সংসার, হঠাৎ কি হলো বুঝলাম না। রোববার ইফতারের দশ মিনিট আগেও মেয়ের সাথে আমার মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তখনও মেয়ে তেমন কিছু জানায়নি আমাকে। এরপর মৃত্যুর সংবাদ শুনে ছুটে এসে তার লাশ দেখতে পাই।
এ বিষয়ে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা বলে মনে হয়নি। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। সে কারণেরই নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
খুলনা গেজেট/কেএম