যশোরের চৌগাছায় উপজেলা বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের ৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। পরের দিন রবিবার উপজেলা বিএনপির ৫১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ একটি মামলা করেছেন। চৌগাছা থানা পুলিশের এসআই শামিম হোসেন বাদি হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আটক নেতাকর্মীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানা পুলিশের সূত্র জানায়, শনিবার বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সড়কে চলাচল বন্ধ করে জনমনে ভীতির সৃষ্টির পাশাপাশি ভাঙচুর, পুলিশের কর্তব্যে বাধাসহ নানা অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলার বাদী এসআই শামিম বলেন, পুলিশের কাজে বাধাদানের সময় ৯ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃত হলেন, পাতিবিলা ইউনিয়নের নিয়ামতপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা আব্দুল মমিন, পাতিবিলা গ্রামের যুবদল নেতা সুজন হোসেনে, একই গ্রামের বিএনপি নেতা কবির হোসেন, পৌর যুবদলের আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেতা সালাউদ্দিন আহমেদ, আফরা গ্রামের বিএনপি নেতা বিল্লাল হোসেন, একই গ্রামের জহুরুল ইসলাম, মুক্তদাহ গ্রামের সুদুর মালায়েশিয়া হতে সদ্য বাড়িতে আসা যুবনেতা ইয়াসিন আলী, বেড়তাহেরপুর গ্রামের বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম ও হাকিমপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন সুইট। আটকৃতদের রবিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চৌগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, দলের কেন্দ্র ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে আমরা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করেছি। কিন্তু পুলিশ অধিকাংশ ইউনিয়নে যেয়ে এই কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করেছেন।