যশোরের চৌগাছায় স্যালোচালিত আলমসাধুর নিচে চাপা পড়ে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চালকসহ আরও একজন মারাত্মক আহত হয়েছে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরে রেফার করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চৌগাছা পুড়াপাড়া সড়কে খড়িঞ্চা বাজারে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
থানা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের নস্তি গ্রামের মৃত অবনিশ হালদারের ছেলে সুজন হালদার (৩২), একই গ্রামের আলমসাধু চালক রফিকুল ইসলাম ও মান্দারতলা গ্রামের আতিয়ার রহমান প্লাষ্টিকের ড্রামে মাছ ভরে বিক্রির জন্য চৌগাছার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে চৌগাছার খড়িঞ্চা বাজারে পৌছালে আলমসাধুর একসেল (ধুরো) ভেঙ্গে সড়কের পাশে উল্টে যায়।
এতে আলমসাধুর নিচে চাপা পড়ে সুজন হালদার ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মারাত্মক আহত হয় চালক রফিকুল ইসলাম ও মাছ ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক সুজন হালদারকে মৃত ঘোষনা করেন। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রত যশোরে রেফার করা হয়।
নিহতের বড় ভাই সন্নাস্যি হালদার বলেন, পেশায় তারা জেলে, অন্যের পুকুর, ঘের, বিল বা বাওড় থেকে মাছ ধরে যা রোজগার হয় তাতেই চলে সংসার। বুধবার খুব সকালে মহেশপুরের জাগুসা গ্রাম হতে মাছ ধরে বিক্রির জন্য চৌগাছার উদ্যেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে আলমসাধুর একছেল ভেঙ্গে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের সুরোতহাল রিপোর্টে নিয়োজিত চৌগাছা থানার এসআই জাফর আহমেদ বলেন, নিহতের পরিবারের কোন দাবি না থাকায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ময়না তদন্ত ছাড়াই মরাদেহ স্বজনদের মাঝে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ