যশোরের চৌগাছায় কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকাজে ব্যবহৃত ৬টি স্যালোমেশিন ও বালু বহনকাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার নেতৃত্বে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের পেটভরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই মেশিন ও ট্রাক্টর জব্দ করা হয়।
এসময় অভিযানের সংবাদ পেয়ে বালু উত্তোলনকারীরা ৬টি মেশিন ফেলে পালিয়ে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে মেশিনগুলি জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক শামীম রেজার হেফাজতে রাখা হয়। মেশিনগুলি মঙ্গলবারের মধ্যে চৌগাছা থানায় পৌছে দেয়ার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এছাড়া বালু বহনকাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি একটি ট্রাক জব্দ করে চৌগাছা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এসময় চৌগাছা থানার পুলিশ সদস্যরা তাঁর সাথে ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উরুফা সুলতানা বলেন, অভিযানের সংবাদ পেয়ে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত পাইপসহ ছয়টি স্যালোমেশিন এবং বালু বহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
তিনি জানান, জব্দকৃত ছয়টি মেশিন স্থানীয় ইউপি সদস্যর হেফাজতে দিয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে চৌগাছা থানায় পৌছে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় এবং ট্রাক্টরটি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা করা হবে।
প্রসঙ্গত প্রশাসন ও পুলিশের অভিযান, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার পরও কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন না থামায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে দুটি স্যালোমেশিনসহ সরঞ্জামাদি জব্দ করেন। এঘটনায় হাকিমপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা বাদি হয়ে চৌগাছা থানায় নিয়মিত মামলা করেন। এরপরও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছিল না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক স্থান থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করলে উত্তোলনকারীরা অন্যস্থান থেকে বালু তোলেন। এসবের প্রেক্ষিতে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই অভিযান পরিচালনা করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই