যশোরের চৌগাছায় করোনা ভাইরাস বেড়ে যাওয়ায় পৌর এলাকাতে ৭ দিনের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ এনামুল হক স্বাক্ষরীত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমনের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় চৌগাছা পৌরসভা এলাকায় ১৮ জুন রাত ১২ টা ১ মিনিট হতে ২৪ জুন রাত ১২ টা পর্যন্ত সার্বিক কার্যাবলী/ চলাচলের উপর নিম্নরুপ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বিধিনিষেধ চলাকালীন উপজেলার অভ্যান্তরীন সকল রুটে গণপরিবহন/বাস ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। তবে রোগী পরিবহনকারী এ্যাম্বুলেন্স, জরুরী পণ্যবহণকারী ট্রাক এবং জরুরী সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবেনা।
কাঁচা বাজার, ফুল ও ফলের দোকান (পৌরসভা কর্তৃক বৈধ ট্রেড লাইসেন্সধারী) সকাল ৬ টা হতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে কাঁচা বাজার নির্ধারিত উন্মুক্ত স্থানে বসতে হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের (মুদিখানা) দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে।
এ ছাড়া সকল দোকানপাট, শপিংমল, বিপনীবিতান, চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। তবে লাইসেন্সধারী ওষুধের দোকান সর্বক্ষনিক খোলা থাকবে।
খাবারের দোকান ও হোটেল রেস্তোরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে। তবে খাবারের দোকান থেকে কেবল সকাল ৬ টা হতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয়/ সরবরাহ করা যাবে, দোকানে বসে খাওয়া যাবেনা।
কঠোর বিধিনিষেধের এই সময়ে সকলকে ঘরেই থাকতে হবে, অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসা যাবেনা। বাইরে এলে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরাসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মোটরসাইকেল চালক ছাড়া কেউ ওই মোটরসাইকেলে উঠবে না, সকল ধরনের ইজিবাইক, ভ্যান, নছিমন, করিমন সর্বোচ্চ ২ জন যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে।
শিল্প কলকারখানায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। জনসমাবেশ হয় এমন কোন ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবেনা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুম্মা ও ওয়াক্তের নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ গ্রহন করবেন।
এছাড়াও বেশ কিছু বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধে আরও বলা হয়েছে সময় সময় জারিকৃত এ সংক্রান্ত সকল সরকারী বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই