যশোরের অভয়নগর উপজেলার ১নং প্রেমবাগ ইউনিয়নের বাহিরঘাট মেছেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মী মোঃ ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে কোমলমতি শিশু ছাত্রদের অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২আগস্ট) মাদ্রাসা ক্লাসরুমে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গেছে, ওই মাদ্রাসার সহকারী সুপারের পাঞ্জাবির পকেট থেকে এক হাজার টাকা হারিয়ে যায়। মাদ্রাসা কক্ষের জানালা দরজা বন্ধ করে নিরাপত্তা কর্মী মোঃ ফরহাদ হোসেন নিষ্ঠুরভাবে কোমলমতি শিশু ছাত্রদের মারপিট করে নির্যাতন করতে থাকে। ফলে, অসহায় শিশুরা চিৎকার করতে থাকে। কান্নায় ছটফট করতে থাকলেও ফরহাদের মন গলেনি। পরে স্থানীয় অভিভাবক, মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকগণ কোমলমতি শিশুদের উদ্ধার করেন। ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে পড়লে ফরহাদ গা-ঢাকা দেয়। এলাকার অভিভাবকরা এ ঘটনার বিচারের জন্য ওই মাদ্রাসার সুপারসহ সভাপতির দারস্থ হলে বৃহস্পতিবার রাতে সালিশের আয়োজন করা হলেও অভিযুক্ত ফরহাদ পলাতক থাকায় ম্যানেজিং কমিটি বা এলাকার গন্যামাণ্য ব্যক্তিরা কোন সুরাহা করতে পারেননি।
ফরহাদের নির্যাতনের শিকার এক শিশু (৭) ছাত্র জানায়, আমরা ক্লাসে মোট ২৫ জন ছাত্র ছিলাম। ফরহাদ কাকু ঘর বন্ধ করে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে সবাইকে মারপিট করেন। আমরা ভয়ে পা জড়িয়ে ধরলে ও তিনি মারতে থাকেন। আমাদের কোনও কথাও শুনেনি।, এর আগেও আমাদের এরকম মারধর করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত ফরহাদ মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এব্যাপারে আমি কিছু বলবো না। আমার প্রসাশনিক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। এই বলে তিনি কলটি কেটে ফোনটি বন্ধ করে দেন।
প্রেমবাগ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহির হোসেন জানান, ঘটনাটি সত্যি দুঃখজনক। আমরা জেনেছি এবং ম্যানেজিং কমিটি তার ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয় তাই দেখি।
বাহিরঘাট মেছেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সৈয়েদ হোসেন ঘটনা সত্য বলে স্বীকার করে জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ম্যানেজিং কমিটিকে জানানো হয়েছে। রবিবার তারা ফরহাদের এরকম অপরাধের কি শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিবে দেখে বলতে পারবো।
মাদ্রাসার সভাপতি হবি সরদার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে আমরা নিরাপত্তা কর্মী ফরহাদের শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। মিটিং ডাকা হয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়টি নিয়ে আমাকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ম্যানেজিং কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ব্যবস্থা নিতে।
খুলনা গেজেট/কেডি