বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রায় চার হাজার একর জমিতে গ্রীষ্ম কালিন বিভিন্ন সবজি উৎপাদন হচ্ছে। এখানের ৭টি ইউনিয়নে ২১টি ব্লক রয়েছে। সেই সবজি নিরাপদ ভাবে উৎপাদনের জন্য স্থানীয় কৃষি দপ্তরের একাধিক টিম নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষ ও উৎপাদন করতে কৃষকদের প্রশিক্ষিত করার পাশাপাশি তথ্য সংরক্ষণে উদ্ধুদ্ধ করা হয়েছে। তাইতো এখন ভোক্তাদের হাতে চাষিরা ‘নিরাপদ সবজি’ তুলে দিতে পারছে। দেশে বিভিন্ন এলাকার সবজির চাহিদা মেটাচ্ছে এ অঞ্চলের চাষিরা। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে এমনটাই জানালেন উপজেলা কৃষি দপ্তর।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সিফাত-আল-মারুফ জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১ হাজার ৯৪৯ একর জমিতে শসা, ৪৪০ একর জমিতে করল্লা, ১১৬ একর জমিতে উচ্ছে, ৭২ একর জমিতে পুইশাক, ১১৯ একর জমিতে চালকুমড়া, ৭২ একর জমিতে ঢেড়স, ৫০ একর জমিতে ঝিংগা, ৬০ একর জমিতে চিচিংগা, ৭০ একর জমিতে ডাটা, ৬২ একর জমিতে বেগুন, ৩৫ একর জমিতে কচুরলতি, ৬৭ একর জমিতে বরবটি, ৫০৪ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া, ৩ একর জমিতে কাকরোল, ৩০ একর জমিতে কচুরমুখি, ১২৬ একর জমিতে লাউ ও ৪২ একর জমিতে পানি কচু চাষ হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত থেকে নিরাপদ সবজি উৎপাদনের লক্ষে চাষিদের জৈব বালাই নাশক, ফেরোমন ট্রাপ (গন্ধ), আঠালো ফাঁদ ও অপেক্ষমান সময়ে বিষ প্রয়োগের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সে ভাবেই কাজ করছে এ অঞ্চলের সবজি চাষিরা। সে জন্যই ভোক্তাদের হাতে চাষিরা ‘নিরাপদ সবজি’ তুলে দিতে পারছে। প্রতিদিন দেশে বিভিন্ন এলাকার শতাধিক ট্রাক ভারে যাচ্ছে এ সবজি।
সোমবার (২৪ জুলাই) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহন কুমার ঘোষ, বাগেরহাট খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম নিরাপদ সবজি উৎপাদনের বিভিন্ন খেত পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে খলিশাখালী গ্রামের সবজি চাষি সুমন পোদ্দার, চরবানিয়ারী উত্তরপাড়া গ্রামের রুবেল গাইন, টেকের বাজারের সাধন গাইন ও চরবানিয়ারী পশ্চিমপাড়া গ্রামের কানাই মজুমদার বলেন, নিরাপদ সবজি চাষে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা নিয়মিত আমাদের খোজ-খবর রাখেন। এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে আমরা লাভবান।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল ইসলাম