খুলনায় শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ’র উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার দিনব্যাপী খুলনায় ২৪ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র মানবিক কারণে জরুরি বিভাগ খোলা ছিল।এর আগে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টায় বিএমএ ভবন খুলনার কাজী আজহারুল হক মিলনায়তনে সাংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে। ফলে দূর দুরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রুগীদের পোহাতে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। চিকিৎসা সেবা না না পেয়ে বহু রোগীদের বাধ্য হয়েই চিকিৎসা না নিয়েই ফিরতে হয়েছে বাড়িতে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিশু সন্তানকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসা এক মা জানান, সন্তানকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন। তবে হাসপাতাল বন্ধ থাকবে তা তিনি জানতেন না। কয়েকঘন্টা বসে থেকে উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই চিকিৎসা না করিয়ে মানষিক দুশ্চিন্তা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
চিকিৎসা নিতে আসা বাঁকা গ্রামের অঞ্জলি রানী বলেন, তার ডায়াবেটিস বহুলাংশে বেড়েছে তাই ওষুধ নিতে এসেছিলাম কিন্তু হাসপাতাল বন্ধ থাকার কারণে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা মহানগরীর শেখপাড়ায় অবস্থিত হক নার্সিং হোমে অপারেশন চলাকালীন হামলা করে রোগীর স্বজন শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের বার্ন প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত করে এবং তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। শুধু তাই নয় তিনি একজন মুমূর্ষ রোগীর অপারেশন করছিলের সেখান থেকে ১ মাস পূর্বে অপারেশন করা রোগীর জটিলতার ওজুহাতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশে কর্মরত এএসআই নাঈম ও তার সঙ্গীরা তাকে জোর করে অপারেশন মাঝপথে বন্ধ করে দেয়।
এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টায় বিএমএ ভবন খুলনার কাজী আজহারুল হক মিলনায়তনে সাংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা ২৪ ঘন্টার কর্মবিরতির ঘোষণা করেন ।