যশোরে বিপ্লবি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পরিচয় দিয়ে বিচারককে উড়োচিঠি পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন এক আইনজীবী। চিঠিতে লেখা হয়েছিলো ধর্ষণ মামলায় আটক তিন আসামিকে জামিন না দিলে বিচারকের জীবন শেষ করে দেয়া হবে। ওই চিঠি বিচারকের কাছে পৌছালেই শুরু হয় তোলপাড়। এক পর্যায়ে ডিবির জালে ধরা পড়েছে সেই আইনজীবী নব কুমার কুন্ডু। শুধুই তিনিই নন, যিনি ওই চিঠি লিখেছিলেন এবং যিনি চিঠি পোস্ট করেছিলেন তাদেরকেও আটক করেছে ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম।
ডিবি পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার বিচারককে হুমকি দিয়ে উড়োচিঠি পাঠানো হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে তারা কাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে পোস্ট অফিসের সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা করে প্রথমে তারা রুবেল নামে আইনজীবীর সহকারীকে শনাক্ত করেন। আটকের পর তিনি জানান, ওই চিঠি পোস্ট করতে তাকে দিয়েছিলেন অ্যাড. নব কুমার কুন্ডু। এরপর আটক করা হয় এ ঘটনার মুল হোতা নবকুমার কুন্ডুকে। পরে তিনি গোটা বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর যে কম্পিটারের দোকান থেকে চিঠিটি টাইপ করা হয়েছিলো, সেই দোকানে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। সেখান থেকেই মিহির কুমার সাহাকে আটক করা হয়।
ডিবি পুলিশ আরও জানায়, শহরতলীর চুড়ামনকাঠির একটি ধর্ষণ মামলায় চার আসামির মধ্যে তিনজন কারাগারে আটক রয়েছেন। ওই আসামির স্বজনেরা জামিনের জন্য গিয়েছিলেন অ্যাড. নব কুমার কুন্ডুর কাছে কিন্তু তিনি ফি বেশি চাওয়ায় আসামির স্বজনেরা তার কাছ থেকে চলে যান অ্যাডভোকেট চিত্তরঞ্জনের কাছে। আর সেই রাগেই নব কুমার কুন্ডু বিচারককে খোলা চিঠি পাঠান। হত্যার হুমকি দিয়ে জামিন চান ঠিকই, কিন্তু তার মূল উদ্দেশ্য ছিলো আসামিদের যেন জামিন না হয়। বৃহস্পতিবার আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারকের সামনেও তারা একই কথা বলেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ তিন আসামির জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ