গ্রাহকের ৪১ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের পরিচালকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার যশোরের বাঘারাপাড়া থানায় মামলা হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনের রিলেশনশিপ অফিসার লিকো আহম্মেদ মামলাটি করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, বাঘারপাড়া উপজেলার হালদা গ্রামের মৃত জিন্দার আলী মোল্লার ছেলে আনোয়ার জাহিদ, তার স্ত্রী বুলবুলি খাতুন, ভাই মাজেদ মোল্লা, আব্দুল আজিজ মোল্লা, বেতালপাড়া গ্রামের সুরমান মোল্লার ছেলে আমিনুর রহমান, মাগুরার শালিখা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের আবু বাক্কার কাজীর ছেলে বর্তমানে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরায় শ্বশুর মাওলানা সোলাইমানের বাড়িতে বসবাসকারী মুশফিকুর রহমান রতন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পান্তাডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ আলী মোল্লা ও মাগুরার শালিখা উপজেলার ছান্দড়া গ্রামের তাহের পাটেয়ারীর ছেলে রাজু ভূঁইয়া। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিদের মধ্যে আনোয়ার জাহিদ ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বাঘারপাড়ার চতুরবাড়িয়ায় এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালানার অনুমতি পান। সেই থেকে তিনি চতুরবাড়িয়া বাজার ও আশপাশ এলাকার প্রায় দেড় হাজার গ্রাহককে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছিলেন।
কিন্তু গত ২০ জুন থেকে আনোয়ার জাহিদকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় ৩৪ জন গ্রাহক ব্যাংকের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেন। এসব গ্রাহকের অভিযোগ, আনোয়ার জাহিদসহ অন্য আসামিরা বিভিন্ন সময় তাদের ৪১ লাখ ৬০০ টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
অভিযোগ পেয়ে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনের কর্মকর্তারা সরেজমিনে বিষয়টি অনুসন্ধান করেন ও প্রাথমিকভাবে সত্যতা পান। তদন্তে তারা জানতে পারেন, উল্লিখিত আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ঘটনার পর থেকে আসামিদের মধ্যে আনোয়ার জাহিদ আত্মগোপনে রয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় থানায় মামলার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে তদন্তের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি