মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানী সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিকামী মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৪৭ সালে মুসলিম সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন।
তিনি ১৯৪৭ সালে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালি যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল তার নেতৃত্বসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শীতার ফল হিসেবে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন এবং অবিস্মরনীয় বিজয়। আর গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় সুধীসমাজ তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করে।
তিনি একজন সৎ, নীতিবান, দূরদর্শী ও অসম্প্রদায়িক নেতা ছিলেন। তাই তাকে অসম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ বলা হয়। তিনি আরও বলেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী উপমহাদেশের মেহনতী মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ণ ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবনাদর্শ সবসময় সাহস ও প্রেরণা জোগায়। তাঁর এই আদর্শের প্রতি আনুগত্য ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে কারণেই বঙ্গবন্ধুকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভাব শিষ্য বলা হয়। বঙ্গবন্ধু যেমন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করেছেন আমাদেরকেও সে রকম বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
সোমবার বাদ মাগরীব দলীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায় ও এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, মহানগর যুব লীগের আহ্বায়ক মো. সফিকুর রহমান পলাশ।
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, আবুল কালাম আজাদ কামাল, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মনিরুল ইসলাম বাশার, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, এস এম আকিল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব মিয়া, এম এ নাসিম, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মীর বরকত আলী, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন চৌধুরী নীপা, বাবুল সরদার বাদল, চ.ম মজিবুর রহমান, মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটো, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, জেসমিন সুলতানা শম্পা, রেখা খানম, নাছরিন ইসলাম তন্দ্রা, মো. শহীদুল হাসান, জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস, বায়েজীদ সীনা, মাহমুদুর রহমান রাজেস, শংকর কুন্ডু, রাহুল শাহরিয়ারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ আব্দুর রহীম।