খুলনার বাজারে হঠাৎ দেশী পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৩/৪ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর বড় বজারের পাইকারী বিক্রেতা কামরুল ইসলাম বলেন, এখন বেশীর ভাগ দেশী পেঁয়াজের যোগান আসছে ঝিনাইদহের শৈলকূপা থেকে। প্রতি মণ দেশী পেঁয়াজ সেখান থেকে ১ হাজার ৪শ’ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। প্রতিকেজির পরিবহন খরচ আসছে ২ টাকা পঞ্চাশ পয়সা। সে হিসেবে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার নীচে বিক্রি করলে তার লস হবে। তিনি এখানে কমিশন ভিত্তিক ব্যবসা করেন। গাড়ীর ভাড়া বেড়েছে ও মোকামে তেমন বেশী মাল পাওয়া যায় না। যেকারণে এ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসলে এ মূল্য কিছুদিনের মধ্যে আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কেসিসি পরিচালিত খুলনা সোনাডাঙ্গাস্থ পাইকারী কাঁচা বাজারের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানান, এখানে ২৬ টি পেঁয়াজের আড়ত রয়েছে। একটি আড়তেও ভারতীয় পেঁয়াজের যোগান নেই। লকডাউন ও পণ্য পরিবহন সংকটের কারণে খুলনার বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পন্যটি তারা কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরের মোকাম থেকে ক্রয় করে। সেখানকার কিছু ফড়িয়া ও দালাল কৃষকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কম দামে ক্রয় করে গুদামজাত করে বাজারকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় রয়েছে।
এ বাজারের নিউ ফারাজী ভান্ডারের মালিক জানান, মাঝে পেঁয়াজের দাম কমে গিয়েছিল। হঠাৎ এ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি হলে এর দাম কমে যেতে পারে বলে তিনি খুলনা গেজেটকে জানিয়েছেন।
নগরীর মির্জাপুর রোড়ে খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা বেলাল জানান, ১০ দিন ধরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাইকারী বাজার থেকে তাকে বেশী দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। ভ্যানযোগে পেঁয়াজ দুই কেজি এক শ’ টাকা দরে ফেরি করে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি