খুলনায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধষর্ণের দায়ে আসামি মো: আল আমিনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। আসামি নিজখামার বিশ্বাস প্রোপারটিজ এলাকার বাসিন্দা জনৈক মো: রুস্তুম খাঁর ছেলে।
সোমবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আ: ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: রুবেল খান।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ৭ম শ্রেণির ছাত্রী বিশ্বাস প্রোপারটিজ এলাকার বাসিন্দা ও হোগলাডাঙ্গার স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আসামি আল আমিনের স্ত্রী মনি বেগম ভিকটিমের মাকে জানায় তার জামাইয়ের ফোনে ওই স্কুলছাত্রীর খারাপ ছবি আছে। ভিকটিমের মা সেটি দেখে মেয়েকে ঘটনার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। একপর্যায়ে ভিকটিম মাকে জানায় একই বছরের ১ এপ্রিল তাকে আইসক্রিম খাওয়ানোর কথাসহ বিভিন্ন প্রোলভন দেখিয়ে নিজখামার এলকায় আসামির দুলাভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এজাহারে তিনি আরও আসামির কথা মত না আসলে ধারনকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি প্রদান করে আসামি। তার ভয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ও ভিডিওর কথা এতদিন গোপন রেখেছিল।
এঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর মা ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর লবনচরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনীয় ২০০৩) এর ৯(১) ধারা তৎসহ পর্নোগ্রাফি আইন ২০১৩ এর ৮(১) ধারায় আল আমিনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
২০২২ সালের ১২ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোকলেকুর রহমান আসামি আল আমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন ওই আদালতের স্পেশাল পিপি এড. ফরিদ আহমেদ।
খুলনা গেজেট/ এসজেড