খুলনায় দ্বিতীয় পর্যায়ে কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলবে। আগে থেকে পণ্য বিক্রির দিন, স্থান ও সময় জানতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েন কার্ডধারীরা। দুপুর ১২টা থেকে পণ্য বিক্রি শুরু হলেও অনেকে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। যে কারণে এবার আগে থেকেই তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ শনিবার নগরীর ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পণ্য বিক্রি করা হবে। কার্ডের সিরিয়াল নম্বর অনুযায়ী আগের স্থানেই পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে দুই হাজার করে কার্ডধারী পণ্য পাবেন।
১০ এপ্রিল (রবিবার) নগরীর ৯, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে, ১১ এপ্রিল ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে, ১২ এপ্রিল ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে, ১৩ এপ্রিল ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে, ১৭ এপ্রিল ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ১৮ এপ্রিল ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পণ্য বিক্রি করা হবে। ১৯ এপ্রিল বিশেষ কার্ডধারীদের (সিএএমএস) নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে একযোগে পণ্য বিক্রি করা হবে। নির্ধারিত দিনে দুপুর ১২টা থেকে নিজ নিজ ওয়ার্ডের চারটি স্থানে একযোগে পণ্য বিক্রি হবে। কার্ডের সিরিয়াল নম্বর অনুযায়ী পণ্য বিক্রির স্থান নিজ নিজ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এলাকায় জানিয়ে দেবেন।
টিসিবি’র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক রবিউল মোর্শেদ জানান, খুলনা সিটি করপোরেশনসহ জেলার ৯টি উপজেলায় মোট এক লাখ ৯১ হাজার ৭১৬ উপকারভোগীর মধ্যে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে গত ২০ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রত্যেক উপকারভোগীর কাছে দুই কেজি ডাল, দুই কেজি চিনি এবং দুই লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আগের পণ্যের সঙ্গে দুই কেজি ছোলা যুক্ত করা হয়েছে। একজন কার্ডধারী প্রতি কেজি চিনি ৫৫, ডাল ৬৫, ছোলা ৫০ এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকায় কিনতে পারবেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই