খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  যাত্রাবাড়িতে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষে দুই পুলিশ আহত
  জুলাই গণহত্যা : ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

খুলনার দশ খাদ্য গুদামে চালের মজুদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গেল বোরো মৌসুমে সংগ্রহ অভিযান আশাব্যঞ্জক হয়নি। করোনার লকডাউনের সময় শ্রমজীবী মানুষকে কেজি প্রতি ৩০ টাকার চাল দিতে হয়েছে। প্রতিমাসে নিয়মিত বাহিনীর জন্য ৭শ’ মেট্টিক চাল বরাদ্দ। খুলনা জেলার দশ গুদামে ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৫০ মে: টন। সেখানে মজুদ ১৪ হাজার ৭৫ মে: টন। নিয়মিত বাহিনী ও ভিজিডির চাল দিতে হলে দু’মাস পর মজুদ শূন্যের কোটায় নামবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মার্চ মাস থেকে করোনার ভয়াবহতা শুরু হয়। ফলে উপজেলা পর্যায় কৃষক সরকারি গুদামে চাল পৌঁছাতে পারেনি। ধান না পাওয়ায় সরকারে সাথে করা চুক্তি মিল মালিকরা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এছাড়া লকডাউনের সময় শ্রমজীবী মানুষের কাছে কেজি প্রতি ৩০ টাকা দরে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল বিক্রি করতে হয়। ফলে মজুদ ফুরাতে থাকে। গেল বছরের ডিসেম্বর মাসে জেলার খাদ্য গুদামগুলোতে ৫৯ হাজার ৫৪ মেট্রিক টন চাল ও ৫৯ হাজার ২৩৯ মেট্রিক টন গম মজুদ ছিলো। এ বছরের ৩০ জুন চাল মজুদের পরিমাণ ২৯ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন আর গম মজুদ ১০ হাজার ৪৭৭ মেট্রিক টন। ২৩ অক্টোবর ২৬ হাজার ১৯৫ মেট্রিক টন চাল ও ৮ হাজার মেট্রিক টন গম মজুদ ছিলো। জেলা খাদ্য অফিসের ২৫ ডিসেম্বরের প্রতিবেদন অনুযায়ী চাল মজুদের পরিমাণ ১৪ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন। গম গুদামজাত আছে ৪ হাজার ৮৬৪ মেট্রিক টন। পুলিশ, আনসার, বিজিবি, ফায়ার ব্রিগেড ও কারাগারের জন্য প্রতি মাসে ৭শ’ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করতে হয়। ফলে মজুদকৃত চাল দু’মাসের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে।

খুলনা বিভাগের ৭১টি খাদ্য গুদামে ৫৭ হাজার ৪২২ মেট্রিক টন চাল এবং ৫১ হাজার ৩৫৮ মেট্রিক টন গম মজুদ আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিভাগের দশ জেলায় প্রতি মাসে নিয়মিত বাহিনীর জন্য ৫ হাজার মেট্রিক টন ভিজিডির জন্য ৩ হাজার ৬৮ মেট্রিক টন এবং ১০ টাকা কেজির জন্য ১৮ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন চালের প্রয়োজন হয়।

মজুদ বাড়াতে আমন সংগ্রহ মৌসুমে ১৩৫ মিল মালিকের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তির আওতায় ১১ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন সিদ্ধ এবং ১ হাজার ৪শ’ মেট্রিক টন আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। সংগ্রহ অভিযানের ফলাফলও আশাব্যঞ্জক নয়।

খুলনা বিভাগীয় খাদ্য চলাচল ও সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুস সোবাহান জানান, বিভাগে আপাতত চালের ঘাটতি নেই। আপদকালিন মজুদ গড়ে তোলা হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন সংগ্রহ অভিযান চলবে। এছাড়া ভারতের দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চুক্তি করা চালের প্রথম চালান আগামী মাসে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছবে।

খুলনা গেজেট/এ হোসেন

 

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!