খুলনায় সাদ পন্থীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনার আলেম সমাজ। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা তাবলীগ মসজিদে এ সংবাদ সম্মেলন করেন আলেমী শুরা।
এ সময় মুফতি জিহাদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের দাওয়াতে তাবলীগের দুই ধারাতে কাজ চলতেছে। এক ধারা হলো আলেমী শুরা আরেক ধারা ইন্ডিয়ার সাদ সাহেবের কিছু অনুসারীরা তাবলীগে দাওয়াতের কাজ করছে। ইতিমধ্যেই তাদের দাওয়াতি কার্যক্রম সারা পৃথিবীর কাছেই প্রমাণিত হয়েছে যে তারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। গত ১৮ তারিখ আলেমী শুরার সাথো যে সকল ভাইয়েরা দাওয়াতি তাবলীগের কাজ করছে তারা অবস্থান করছিলো, রাতের অন্ধকারে রাত তিনটার সময় তারা অস্ত্র সজ্জিত হয়ে মুসল্লিদের নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ইতিমধ্যে চারজন শহীদ হয়েছে এবং অসংখ্য সাথীরা আহত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনাকে বিবেচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সাদ পন্থীদের কাকরাইল মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। আলেমী শুরার সাথে যে সকল সদস্য কাজ করছেন তারা সেখানে অবস্থান করছেন। যেহেতু খুলনা মারকাজ মসজিদ কাকরাইলের অন্তর্গত এবং তারই তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। খুলনার যে সমস্ত ওলামা একরাম এবং তাবলীগের ভায়েরা আলেমী শুরার সাথে কাজ করছেন তারা আগামী দশদিন এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করবেন।
দাওয়াতে তাবলীগের ওর যাতে সাতপন্থীরা হামলা করতে না পারে তাই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মুফতি জিহাদুল ইসলাম।
মুফতি জিহাদুল ইসলাম বলেন, খুলনা মারকাজের জায়গাটি দান করেছেন বড় হুজুর রহমাউল্লাহ। তিনি এই জায়গা দান করেছেন সহীহ ইসলামের চর্চার জন্য। তাই সাদ বাহিনী ইসলামবিরোধী কোন কাজ এই মসজিদে করতে পারবেনা।
সংবাদ সম্মেলনে মুফতি গোলাম রহমান বলেন, তাবলীগের যে কাজ খুলনা কেন্দ্রিক চলে কাকরাইল মসজিদের অধীনে শুরাই নিজামের মাধ্যমে পরিচালনা হয়। যেহেতু সরকার কাকরাইল মসজিদ থেকে সাদ পন্থীদের অধিকার বঞ্চিত করেছে। আমরাও খুলনার প্রশাসনের কাছে এই দাবি জানিয়েছি। যেহেতু একই ঘটনা একই ব্যবস্থা তাই আমাদেরকেও এই অধিকার দেয়া হোক। আমরা এককভাবে এই জায়গায় কাজ করবো তারা যেন এখানে না আসে। তাবলীগ মসজিদে পর্যাপ্ত লোক অবস্থান করবে। এবং এখানে পাহারাদারের জামায়াত তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, তারা মারকাজ পাহারা দেবে। এ সময় প্রশাসনের কাছে তাবলীগ মসজিদে অবস্থানকারীদের নিরাপত্তার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ হারুন, মুফতি জিহাদুল ইসলাম, মুফতি মাহমুদ, মুফতি গোলাম রহমান, মুফতি আজিজুর রহমান, মুফতি আব্দুল্লাহ, মুফতি মিরাজুল ইসলাম, মাওলানা হাসান।
খুলনা গেজেট/ টিএ