ভারত থেকে আমদানিকৃত রড খুলনায় নির্মাণাধীন হাইটেক পার্কে নেয়ার পথে চুরির অভিযোগে চার ট্রেইলর চালকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৭মার্চ) বেনাপোলের ডিজিটাল ট্রান্সপোটেশন সিস্টেমসের ম্যানেজার ও চাঁচড়া পুলেরহাটের বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীর ছেলে শেখ মাসুম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইমরান আহম্মেদ অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, চট্্র-মেট্রো-ড-৮১-১৩০৪ ট্রেইলরের চালক আফসার হোসেন, চট্্র-মেট্রো-ড-৮১-২২৩৭ ট্রেইলরের চালক এলাহী ব্যাপারী, চট্্র-মেট্রো-ড-৮১-০৩৩৬ ট্রেইলরের চালক জুবায়ের, চট্্র-মেট্রো-ড-৮১-৪০৯৭ ট্রেইলরের চালক শহিদ হোসেন ও বেনাপোলের বৃত্তি আঁচড়া গ্রামের আজিজের ছেলে লিটন হোসেন, গাজীপুর গ্রামের রাশেদ ও খোরশেদ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধিনে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় সারাদেশে ১২টি হাইকেট পার্ক নিমাণ কাজ চলছে। এ নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে যন্ত্রাংশ, রড, কাঁচামালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম আমদানি করা হচ্ছে। এ মালামাল নির্মাণাধীন হাইটেক পার্কে পৌঁছে দেয়ার জন্য ভারতীয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিবহন ঠিকাদার নিয়োজিত হয় বেনাপোলের ডিজিটাল ট্রান্সেপোটেশন সিস্টেম। গত ১১ জানুয়ারি অপর আসামিদের মাধ্যমে ট্রেইলর চালকদের সাথে খুলনার রূপসা লবনচরায় নির্মাণাধীন হাইটেক পার্কে উন্নতমানের এমএস রড পৌঁছে দেয়ার ভাড়া চুক্তি হয়। এরপর আসামি আফসার হোসেনের গাড়িতে ৩২ দশমিক ৫৪ টন, এলাহী বেপারীর গাড়িতে ৩২ দশমিক ৮৩০ টন, জুবায়েরের গাড়িতে ৩২ দশমিক ৩৮০ টন ও শহিদ হোসেনের গাড়িতে ৩২ দশমিক ৩৮০ টন এমএস রড লোড দিয়ে বেনাপোল হয়ে ব্রিজের মাধ্যমে ওজন নিশ্চিত করে খুলনার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। পরদিন সকালে ট্রেইলারগুলো প্রজেক্ট এলাকায় যায়। এরপর বেলা ১১ টার দিকে ওয়েব্রিজের মধ্যে রডের ওজন করে দুই হাজার ৫শ’৯০ কেজি রড কম পাওয়া যায়। যার দাম প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা। আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় পথিমধ্যে ট্রেইলার দাড় করিয়ে এ রড চুরির মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে ম্যানেজার শেখ মাসুম ট্রেইলর চাকলদের সাথে যোগাযোগ করে রড চুরির বিষয়টি জানালে তারা অস্বীকার করে। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।