যথাযথ মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বুধবার সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬ টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সম্মুখে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী শোভাযাত্রাসহ ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলা চত্ত্বরে পৌঁছান। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য সর্বপ্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলায় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এরপরই বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, বিভিন্ন আবাসিক হল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, খুবি অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ, অফিসারদের সংগঠন চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ও কর্মচারীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর উপাচার্য কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার উদ্বোধন করেন এবং সেখানে সংগৃহীত মুক্তিযুদ্ধের ওপর বইপুস্তক ঘুরে দেখেন। সেখানে তিনি মন্তব্য বইতে তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এ সময় মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন সংলগ্ন মসজিদের পেশ ইমাম ক্বারী মোস্তাকিম বিল্লাহ মোনাজাত পরিচালনা করেন। পরে উপাচার্য ফিতা কেটে জয় বাংলা ভবন (দশতলা বিশিষ্ট ৪র্থ একাডেমিক ভবন) নির্মাণ কাজের সূচনা করেন। এর প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদার এবং প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুম মুনীর। এসময় মহান আল্লাহ পাকের রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস।
এসব কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজয় দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বেলা ১১টায় ওয়েবিনারে আলোচনা সভা। ভাইস-চ্যান্সেলর এ্যাওয়ার্ড প্রদান এবং বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশনা। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/এনএম