খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিশ্বকাপ বাছাই : মার্টিনেজের ভলিতে পেরুর বিপক্ষে জয় পেল আর্জেন্টিনা

খুকৃবিতে শহীদ বুুদ্ধিজীবী দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ১৪ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদররা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশকে মেধাশূণ্য করার লক্ষ্যে দেশের সূর্য সন্তান ৯৯১ জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ৪৯ জন চিকিৎসক, ৪২ জন আইনজীবী ও ১৬ জন শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলী, সাংবাদিকসহ আরও অনেক মেধাবী গুণিজনদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে সোমবার সকালে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রহমান খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার শহীদ বেদীতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্প্যমাল্য অর্পণ করা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা ভাবে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা: খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার (শাজাহান), বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের পক্ষ থেকে আহবায়ক ডাঃ মোঃ আশিকুল আলম ও সদস্য সচিব ড. এম এ হান্নান, কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ভাইস চ্যান্সেলরের একান্ত সচিব মোঃ রেজাউল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাইফুল্লাহ মানছুর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকেও পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও জাতীয় চার নেতা সহ শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান বলেন ‘‘ স্বাধীনতার পূর্ব মুহূর্তে বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে এই দেশকে মেধা শূণ্য করার জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাদের জাতির বিবেক শিক্ষক, ডাক্তার, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সহ এক হাজার একশত এগারো জন বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই সময়ের স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা এখনও দেশের বিভিন্ন ইস্যু দিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এ সকল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, রাজাকার ও নব্য আলবদরদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের জন্য বাঙ্গালী জাতি শহীদদেরকে চিরদিন স্মরণ রাখবেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সোনার বাংলা বিনির্মাণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকল কে সর্বদা স্বোচ্চার থাকতে হবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে সকলকে সহযোগীতা করার আহ্বান জানান। পরিশেষে এই শোক কে শক্তিতে রুপান্তরিত করে ২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক কৃষি শিক্ষা, গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং হস্তান্তরের মাধ্যমে কৃষিবিদরা বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!