খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  হাইকোর্টে ২৩ জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ, আজ শপথ
৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ

কয়রায় জলাবদ্ধতায় আমনে ক্ষতি, আশায় বোরোর মাঠে কৃষক

নিতিশ সানা, কয়রা

চার বিঘা জমির বীজতোলা বোরো চাষের জন্য প্রস্তুত করেছি। ২ বিষা জমিতে চারা রোপন করা হয়েছে আর দুই বিঘা জমিতে বাকি আছে। আমন মৌসুমে চার বিঘা জমিতে বীজ তোলা প্রস্তুত করে অতিবৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতায় সব বীজতোলা নষ্ট হয়ে যায়। নতুন করে আর আমন চাষ করতে পারিনি এমনটি জানালেন উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের শাহেব আলী।

আমিনুর রহমান নামের আরেক কৃষক দুই বিঘা জমিতে বোরো চাষ করছেন। আমন মৌসুমে চার বিঘা জমিতে আমনের চাষ করে । কিন্তু গত ভাদ্র মাসে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয় তার বীজ তলা। পানি নেমে যাওয়ার পর কিছু জমিতে চাষাবাদ করলেও ঠিকমতো ধান হয়নি। একারণে পরিবারের খরাকি মেটাতে বোরো চাষ করছেন তিনি।

একই এলাকার কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, আমন মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম।দুই বিঘায় ধান পেয়েছি সাত মন। এই ধান দিয়ে আমার পরিবারের তিনমাসও চলবে না। তাই বাধ্য হয়ে প্রথমবারের মতো বোরো চাষ করছি।

মদিনাবাদ গ্রামের কৃষক বাবর আলী হাওলাদার বলেন , প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে আমন ধান ভালো না হওয়ায় এবার ১৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন শুরু করেছি । আশাকরি এক সপ্তাহের মধ্যে ধান রোপন শেষ করতে পারবো ।

উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রায় আষাঢ়ের শুরুতেই দুই দফায় অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয় আমন ধানের বীজতলা। আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে , চলতি বছরে বোরো ধান চাষাবাদে উপজেলায় ৪ হাজার ২৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । এর মধ্যে ১ হাজার ২ শত ২৬ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ২ হাজার ৮ শত হেক্টর জমিতে উচ্ছফলনশীল ( উফশী ) বীজ আবাদ করা হবে । এদিকে কৃষকদের বোরো ধানের আবাদ করার জন্য উৎসাহিত করতে সরকারীভাবে ১ হাজার ৫ শত কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রিড বীজ ও ৫ শত কৃষককে ৫ কেজি করে উচ্ছফলনশীল ( উফশ ) বীজ দেয়া হয়েছে ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে ২ বার কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উপজেলায় কৃষি জমির ৯৮০ হেক্টর জমিতে আমন উৎপাদন হয়নি। তবে কয়রা, আমাদি, বাগালি, ও মহারাজপুরের বেশ কিছু এলাকায় নতুন বীজতলা তৈরি করে অল্প সময়ে আমন ভালো উৎপাদন হয়েছে। আমনের সময় যে সকল কৃষক ধান উৎপাদন করতে পারেনি তারা সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো ধান চাষে উৎসাহিত হচ্ছে। সরকারী ভাবে কৃষকদের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে ।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!