অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনার একটি আদালত ৭ জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন। একইসাথে তাদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত ৭ জন আসামির মধ্যে ৫ জন পলাতক ছিল। বাকী ২ জন আদালতে উপস্থিত ছিল।
বুধবার (২০ জুলাই) খুলনা বিশেষ দায়রা জজ ও বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহমুদা ফারজানা।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো: রবিউল ইসলাম (পলাতক), মো: সাজদ্দীন ওরফে সাহবুদ্দীন (পলাতক), মো: জাহিদ ওরফে রাঙ্গ জাহিদ (পলাতক), মো: আজিজুল মোড়ল ওরফে ঠাকুর (পলাতক), মো: রাজু মোল্লা ওরফে রাজু, মো: ইয়াজ ওরফে ইজাজ মোল্লা ও নুরজামাল ওরফে কালু (পলাতক)।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ১২ আগস্ট রাত ৩ টার দিকে কয়রা উপজেলার হাড্ডা গ্রামের গাজী ফিসের পাশের একটি ঘেরে ২০ জনের একদল সন্ত্রাসী প্রবেশ করে। এসময় তারা ঘেরের মালিককে খুঁজতে থাকে। ঘের মালিক চিন্ময় ও পাহারাদার মন্টু বাছাড়কে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে তাদের ২ জনকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে তাদেরকে নৌকায় করে নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা চিৎকার করে বলতে থাকে তাদের ২ জনকে পেতে হলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। না হলে তাদের মেরে ফেলা হবে।
অপহরণকারীরা চিন্ময়ের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে পাশ্ববর্তী ঘেরের মালিক সৌমেন মন্ডলের কাছে ফোন দিয়ে উক্ত পরিমাণ টাকা চায়। তারা ২ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করার কথা বলে। চিন্ময় সৌমেনের পাশ্ববর্তী ঘের মালিক হওয়ায় তিনি সর্বত্র খুঁজতে থাকেন। ৫৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে গহীন সুন্দরবন থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেন। ১৬ আগস্ট সৌমেন মন্ডল ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ জনের নামে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় ২০১১ সালের ৯ মার্চ কয়রা থানার এস আই কামরুজ্জামান উল্লিখিত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
খুলনা গেজেট / আ হ আ