বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে সরকারের সময় কবে শেষ, তা জানতে চেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে শুক্রবার সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী আজকে যতই চিল্লাচিল্লি করেন, যতই জাপান, যুক্তরাজ্য, আমেরিকা আর সৌদি আরব, কাতার ও চীনে যান, কোনো লাভ হবে না। সময় শেষ। এটাই বাস্তবতা।’
ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এত সভা-সমাবেশ, দফা, মানববন্ধন করলেন। তাতে কী হলো? আপনারা বলছেন, সরকারের সময় শেষ। আমি জানতে চাই, সেই শেষ সময়টা কবে?’
তিনি বলেন, ‘এ দেশে আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে। ক্ষমতায় কে থাকবে, এটা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি আছে সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে। আর আমরা আছি জানমাল রক্ষার আন্দোলন নিয়ে। আমাদের তার জন্য শান্তি সমাবেশ করতে হচ্ছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ডেকে নিয়ে আমাদের ঋণ দিয়েছে। সংস্থার প্রধান বলেছেন, বাংলাদেশের সামর্থ্য আছে বলেই ঋণ দিয়েছি। বাংলাদেশ কখনও ঋণখেলাপি হয়নি, এটাই সত্য। ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন। আমরা এখন একটি সংকটের মধ্যে আছি, যেটা আমাদের সৃষ্টি নয়। করোনাভাইরাস মহামারি সামলানোর পর যুদ্ধ শুরু হয়। ফলে জ্বালানি ও ডলারের দাম বেড়ে যায়। বেড়ে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও।
‘অনেক পণ্যই বাইরে থেকে আমদানি করে আনতে হয়। কিছু পণ্য আনা কমিয়ে দিলে মানুষের কষ্ট বাড়বে। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি, কিন্তু জ্বালানি সংকটে পুরোপুরিভাবে সে চাহিদা মেটাতে পারছি না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো নেত্রী আছে বলেই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে। অথচ একটি দল তাকে নিয়ে অপপ্রচার করে। অথচ সারা দুনিয়া তাকে নিয়ে প্রশংসা করে। তিনি থাকলে দেশ পথ হারাবে না।’
কাদের আওয়ামী ওলামা লীগের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন, যাতে ত্যাগী ও সিনিয়র নেতারা স্থান পাবেন।
তিনি বলেন, ‘কমিটিতে যেন বাস্তবতার ও রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন থাকে। নেতাদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলায় আসতে হবে। ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজপথে ওলামা লীগের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো।
‘মাঝে কিছুটা স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল, তবে সেসব কাটিয়ে উঠে যেন একটি যোগ্য কমিটি তৈরি হয়। দলাদলি করে বদনাম কামাবেন না।’