মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর খুলনা সিটি খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন দুটি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী। এরমধ্যে একটি ওয়ার্ডে ঋণ খেলাপির দায়ে বর্তমান কাউন্সিলরের প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় নির্বাচিত হবেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তিনি ওয়ার্ড পরিবর্তন করে এবার প্রার্থী হয়েছেন। এই প্রার্থী বর্তমানে আরেকটি ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর। একক প্রার্থীরা হলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ ও ২৪ নম্বরে জেড এ মাহমুদ ডন।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষে দিনে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বৈধ তালিকায় এ তথ্য জানাগেছে।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটানিং কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নগরীর খালিশপুর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডটি কাউন্সিলর পদে একমাত্র এস এম খুরশিদ আহম্মেদ। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। এই ওয়ার্ডে তিনিই একমাত্র মনোনয়ন দাখিল করেন।
অপরদিকে নগরীর ২৪ ওয়ার্ডে বর্তমানে একক প্রার্থী রয়েছেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন। তিনি ২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এর আগে দু’বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। দলের সিদ্ধান্তে তিনি ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন। এ ওয়ার্ডে তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপির সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি শমসের আলী মিন্টু। যাচাই-বাছাইয়ে ঋণখেলাপী অভিযোগে এই কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। পরে আপিলেও হেরে যান। তবে তিনি উচ্চ আদালতে ফের আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত শমসের আলী মিন্টু প্রার্থীতা ফিরে না পেলে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। একক প্রার্থীদ্বয় নগর আওয়ামী লীগের নেতা।
কেসিসি নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে একক প্রার্থীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ‘ওয়ার্ড দুটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা বিনা প্রতিপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।’
মনোনয়ন দাখিল হয়েছে। এরপরে এটি যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বৈধতা পেলে ওই ওয়ার্ডের একক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবে।
নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডটিতে একক প্রার্থীতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রার্থী এস এম খুরশিদ আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ওয়ার্ডটিতে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। সুখে-দু;খে তাদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। হয়তো সেই ভালবাসা থেকেই আমার বিপক্ষে কেউ প্রার্থী হতে চাননি। নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডবাসীর এ ভালবাসার মর্যাদা রাখার চেষ্টা কর।’
কেসিসি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৬ মে) প্রতীক বরাদ্দ ও ১২ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি